সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে একতরফা হারের মুখ দেখতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। বৃষ্টিতে মাঝপথেই ভেস্তে যায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ। সেই ম্যাচে মাত্র ১৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করে যুগ্ম বিশ্বরেকর্ড গড়েন ক্যারিবিয়ান তারকা ম্যাথিউ ফোর্ড এবং দাপুটে শতরান করে কেসি কার্টি। এবার তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজ ১-১ ড্র করে ক্যারিবিয়ান দল। সৌজন্যে কেসি কার্টির টানা দ্বিতীয় শতরান তথা অবিশ্বাস্য ইনিংস।
রবিবার ডাবলিনে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেসি কার্টির ধুন্ধুমার শতরানে ভর করে ক্যারিবিয়ান দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৫ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলগত ইনিংস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ৩টি ওয়ান ডে ইনিংস
১. বনাম ইংল্যান্ড- ৩৮৯ (সেন্ট জর্জেস, ২০১৯)।
২. বনাম আয়ারল্যান্ড- ৭ উইকেটে ৩৮৫ (ডাবলিন, ২০২৫)।
৩. বনাম আয়ারল্যান্ড- ৩ উইকেটে ৩৮১ (ডাবলিন, ২০১৯)।
একাই ১৭০ কেসি কার্টির
ডাবলিনের এই ম্যাচে কার্টি ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১১২ বলে। সাহায্য নেন ১১টি চার ও ২টি ছক্কার। কার্টি ব্যক্তিগত দেড়শো রানের গণ্ডি টপকান ১৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৪ বলে। শেষমেশ ১৪২ বলে ১৭০ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তিনি মোট ১৫টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। অর্থাৎ, চার-ছক্কা মিলিয়ে মোট ২৩ বার বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান কার্টি।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জয়ের জন্য আইরিশদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪৬ ওভারে ৩৬৩ রানের। পালটা ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ২৯.৫ ওভারে মাত্র ১৬৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ডি-এল মেথডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জেতে ১৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটি চতুর্থ বৃহত্তম ম্যাচ জয়।
ওয়ান ডে ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব থেকে বড় ৫টি জয়
১. দিল্লিতে নেদারল্যান্ডসকে হারায় ২১৫ রানে (২০১১)।
২. কিংস্টোনে কানাডাকে হারায় ২০৮ রানে (২০১০)।
৩. হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডকে হারায় ২০৩ রানে (২০১৪)।
৪. ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডকে হারায় ১৯৭ রানে (২০২৫)।
৫. ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডকে হারায় ১৯৬ রানে (২০১৯)।