ডিআরএসে কি থার্ড আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন? মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে একটি ডিআরএসের সিদ্ধান্ত নিয়ে এমনই প্রশ্ন উঠেছে। সেই সিদ্ধান্তের কারণে অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিলেও শেষপর্যন্ত বেঁচে যান অস্ট্রেলিয়ার ফোবি লিচফিল্ড। তারপরে তিনি ১৪ রান যোগ করেন। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রান ছিল। কারণ ভারতকে নয় রানে হারিয়ে ম্যাচটা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেই পরিস্থিতিতে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ক্রিকেটের নিয়ম বলছে যে তিনি কোনও ভুল করেননি। মহিলা বিশ্বকাপের খেলার নিয়ম এবং মেরলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের আইন মোতাবেক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃতীয় আম্পায়ার।
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল?
রবিবার মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের সময় ১৬.২ ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন লিচফিল্ড। দীপ্তি শর্মা বলটা লেগস্টাম্পে ভাসিয়ে দেন। রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টা করেন অজি ব্যাটার। কিন্তু ব্যাটে এবং বলের সংযোগ হয়নি। বলটা সরাসরি আছড়ে পড়ে প্যাডে। জোরালো আবেদন করেন ভারতীয়রা। আউট দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার।
আর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেন লিচফিল্ড। আল্ট্রাএজে দেখা যায় যে বলটা ব্যাটে লাগেনি। বলটা লেগ সাইডের বাইরে পড়েছিল। কিন্তু লিচফিল্ড রিভার্স সুইপ মারার চেষ্টা করায় অনেকে ভেবেছিলেন যে বলটা লেগসাইডের বাইরে পড়েছে বলে ধরা হবে না। শেষপর্যন্ত সেটাই ধরা হয়। ‘আউটসাইড লেগ’-এ বলটা পড়ায় নট-আউট দেওয়া হয় লিচফিল্ডকে।
১৫ রান করেন লিচফিল্ড, ভারত হারল ৯ রানে
বিষয়টি নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় স্মৃতি মন্ধানাকে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ বেঁচে যান লিচফিল্ড। তিনি সেইসময় এক বলে এক রানে খেলছিলেন। তারপর আরও ১৪ রান যুক্ত করেন। নয় বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরে শেষ করেন। আর তার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। সেই রানটা তাড়া করতে নেমে ১৪২ রানেই আটকে যায় ভারত। যে ম্যাচে হারের ফলে বিশ্বকাপ কার্যত ছুটি হয়ে গিয়েছে হরমনপ্রীত কৌরদের। স্রেফ অঙ্কের বিচারে টিকে আছেন।
আরও পড়ুন: England Beat Scotland: ১০ ওভার বাকি থাকতে ১০ উইকেটে জয়, স্কটল্যান্ডকে ধ্বংস করে এক নম্বরে ইংল্যান্ড
ক্রিকেটের নিয়মে ঠিক কী বলছে?
সেই পরিস্থিতিতে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে হইচই শুরু হয়। যদিও ক্রিকেটের আইনের ৩৬.৩ ধারা অনুযায়ী তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই নিয়ম অনুযায়ী, বলটা যখন বোলারের হাত থেকে বের হয়, সেইসময় খেলোয়াড়ের ব্যাটিং পজিশন কী হবে, সেটার উপরেই নির্ভর করবে যে তাঁর অফসাইড কোনটা হবে।