ভারতীয় মহিলা দল অনূর্ধ্ব ১৯ টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হল। গোটা প্রতিযোগিতায় দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন গঙ্গাদি তৃষা। তিনি ৩০৯ রান করেছেন এই টুর্নামেন্টে, যা সর্বোচ্চ। ভারতীয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ফাইনালে ম্যাচের সেরা হওয়ার পাশাপাশি সিরিজেরও সেরা ক্রিকেটার হয়েছে। দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের রাস্তা মসৃণ করে দিয়েছিলেন বোলাররাই, আর তৃষারা দায়িত্ব নিয়ে এনে দিলেন ট্রফি।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে নয়া তারকার জন্ম
দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করলেন গঙ্গাদি তৃষা। মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯ টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪৪ রান করেন তৃষা। এছাড়াও বল হাতেও তিনি ছিলেন দুরন্ত ছন্দে। মাত্র ১৫রান দিয়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডারের তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। আগামী দিনের মহিলা ক্রিকেটের নতুন তারকার নামই এখন গঙ্গাদি তৃষা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে তৃষা কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। ম্যাচের সেরা এবং প্রতিযোগিতার সেরার পুরস্কার পেয়ে তিনি তা উৎসর্গ করেন তাঁর বাবাকে। যার জন্যই আজ তাঁর ক্রিকেটার হয়ে ওঠা এবং এতটা সাফল্য পাওয়া। ভারতীয় দল তৃষার অলরাউন্ড পারফরমেন্সের সুবাদেই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছিলেন, বাবাকেই জয় উৎসর্গ-
জোড়া সেরার পুরস্কারের ট্রফি হাতে নিয়েই ভারতের জয়ের নায়ক বলছিলেন, ‘আমি কথা বলতে পারছি না, এই মূহূর্তটাই আমার সব কিছু। সবাইকে ধন্য়বাদ আমায় সমর্থন করার জন্য। নিজের শক্তির দিকে নজর দেওয়াই ছিল আমার প্রধান লক্ষ্য, সেটাই আজ করেছি। আজকে আমার বাবা এখানে এসেছে, তাঁকেই এই পুরস্কার উৎসর্গ করতে চাই। আমি সব সময়ই নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে দেখি। আমার টার্গেট এখন দেশের হয়ে সিনিয়রে খেলা এবং আরও অনেক ম্যাচ জেতা ’।
দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্পিনারদের জয়জয়কার-
দঃ আফ্রিকার ব্যাটিং এমনিতেই ধুঁকছিল ভারতীয় দলের বোলিং অ্যাটাকের কাছে। এরই মধ্যে তৃষার স্পিন আরও বেকায়দায় ফেলে দেয় প্রোটিয়াদের। সেই সুবাদেই মাত্র ৮২ রানের মধ্যে প্রোটিয়াদের আটকে দিতে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়ার অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দল। দঃ আফ্রিকার দশটি উইকেটের মধ্যে ৯টি উইকেটই নেয় ভারতের স্লো বোলাররা।
আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তৃষা-
কম রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামলেও শুরু থেকেই আগ্রাসী ঢংয়ে শুরু করেন তৃষা। প্রথম ওভারেই মারেন তিনটি বাউন্ডারি। ৩৮ রানের মাথায় তৃষার একটি ক্যাচ মিস হয়, তবে ততক্ষণে ভারত জয়ের দোরগোড়ায় চলে এসেছে। ১২তম ওভারেই চার মেরে ভারতকে অনূর্ধ্ব ১৯ টি২০ বিশ্বকাপের ট্রফি এনে দেন কমলিনি। তবে তৃষার ধৈর্যশীল ব্যাটিং এবং চাপের সময়ও মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাঁকে আগামী দিনে ভারতীয় দলে স্রেফ নয়, বিশ্বক্রিকেটেও তারকার সম্মান দিতে পারে বলেই মনে করছে সকলে।