আজ থেকে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু ইংল্যান্ডের। লিডসে প্রথম টেস্ট দিয়ে এই সিরিজের পথ চলা শুরু হয়ে যাচ্ছে। দেশের মাটিতে দর্শকদের সামনে ভালো কিছু করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ইংল্যান্ডের সামনে। এমনিতেই টেস্টে শেষ দুই সিরিজেই পর্যুদস্ত অবস্থা হয়েছে ভারতীয় দলের, তাই সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের কথা মাথায় রেখেই ইংল্যান্ডের দর্শকরা চাইছেন ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতুক ইংরেজরা।
এমনিতে শেষ কয়েকবছর বেশ চর্চায় রয়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটিং স্টাইল বাজবল। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের ব্যাটারদের মধ্যে এক নতুন ধরণের আগ্রাসী ব্যাটিং স্টাইল বা মানসিকতা তৈরি করেছেন। এমনিতে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে সেই স্টাইল খুব একটা মানসয়ী না হলেও দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে যদি এই স্টাইল ক্লিক করে যায়, তাহলে একপ্রকার সুপারস্টারের তকমাই পাবেন ম্যাককালাম।
কিন্তু যদি আবারও ব্যর্থ হন, তাহলে? ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা যদি বাজবল স্টাইলে খেলতে গিয়ে সিরিজ হেরে বসে ভারতের বিপক্ষে, তাহলে কিন্তু ম্যাককালামের কপালেও দুঃখ নাচতে পারে, মনে করছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসির হুসেন। ম্যাককালামের চাকরি বাঁচাতে গেলে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাসেজে হারাতেই হবে বেন স্টোকসদের, বলছেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক।
ডেলি মেলের হয়ে নিজের কলমে নাসির হুসেন লিখেছেন, ‘যে ধরণের ক্রিকেটিং স্টাইল ইংল্যান্ড আয়ত্তে এনেছে, সেটা খুবই ভালো। ক্রিকেটের গতি বাড়িয়েছে, কিন্তু একইসঙ্গে তাঁরা যেহেতু পুরো নতুন একধরণের মানসিকতা এনে বিপ্লব দেখাতে চেয়েছেন টেস্ট ফরম্যাটে, তাই অনেকেই চাইছে ইংল্যান্ডের বাজবল যেন আবার ব্যর্থ হয়। তাই ইংলিশরা যদি হেডিংলেতে শুরু হওয়া সিরিজ না জেতে, বা অ্যাসেজ না জেতে, তাহলে সবাই কিন্তু বলবে যে শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বাজবল কাজ করে না’।
নাসির হুসেন মনে করছেন, ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কোচিং কেরিয়ারে আগামী ৬টা মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর লেখা অনুসারে, ‘২০২৫ সালের বাকি ম্যাচে ফলাফল যাই হোক না কেন, আমায় যদি অধিনায়ক স্টোকসের পারফরমেন্স নিয়ে কথা বলতে বাল হয়, আমি তাহলে বলব অসাধারণ। আগামী ছয়টা মাস হয়ত স্টোকসের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে রব কি অথবা ম্যাককালামের সঙ্গে তাঁর কাজের মূল্যায়ণের জন্য এই ছয় মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ’।