আগামী ১৯ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। সুতরাং হাতে আর সময় নেই। এই উপনির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক–বিরোধী সবপক্ষ কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য প্রচার আর করা যাবে না। কারণ প্রচারের সময় শেষ আজ সন্ধ্যায়। এই বিধানসভা উপনির্বাচন রোল মডেল হতে চলেছে গোটা দেশে। কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওয়েবকাস্টিং করার বিষয়টি এবার থাকছে দেশজুড়ে সমস্ত নির্বাচনের ক্ষেত্রে। এবারই প্রথম নির্বাচনের সময় বুথের ভিতর এবং বুথের বাইরে নজরদারি রাখতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম ঘটবে।
এই উপনির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথেই হবে ওয়েবকাস্টিং। নজরদারি রাখতে রাজ্য, জেলা এবং বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। বুথের ভিতর নজরদারি রাখতে ওয়েবকাস্টিংকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাই এই পদক্ষেপ। প্রত্যেকটি স্তরে নজরদারি করার জন্য থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার। উপনির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে ওয়েবকাস্টিং নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করে এই কথা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যে সব জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হবে সেসব জায়গায় যথাযথ পরিমাণের ভিডিয়োগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি করা হবে। আর নোডাল অফিসাররা প্রত্যেকটি জায়গা খুব ভালভাবে ওয়েবকাস্টিং পরিচালনা এবং দুদিন আগে থেকে ড্রাই রান করবে।
আরও পড়ুন: সকাল থেকে বাদল শুরু, দিনেই যেন রাতের অন্ধকার, তুমুল বৃষ্টি নামল মহানগরীতে
প্রত্যেকটি বুথের ভিতর চারজনের বেশি কেউ থাকতে পারবে না। আরও একাধিক পদক্ষেপ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের। তাঁর জায়গায় ওই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নাসিরুদ্দিনের মেয়ে আলিফা আহমেদ। ওই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ। যাঁকে সমর্থন করছে বামফ্রন্ট। ২০১৬ সালে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছিলেন শেখ হাসানুজ্জামান। এখন এখানে প্রচারে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সরব হয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোটে দিলে শেষপর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসেরই লাভ হবে বলা হচ্ছে।
কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদের সঙ্গে হুডখোলা জিপে দেখা যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জুন মালিয়াকে। আর বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করলেন হিরণ। এই উপনির্বাচনের প্রচারে এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এই বিধানসভায় বিরোধী বলতে কিছু নেই। তৃণমূল কংগ্রেসই জয়লাভ করবে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি। আমাকে মানুষ দিদি নম্বর ওয়ান বলে, কিন্তু দিদি নম্বর ওয়ান একজনই–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’