বিরাট কোহলির সাম্প্রতিক কয়েকটা সিদ্ধান্ত ক্রিকেটমহলকে খুবই হতাশ করেছে। গত বছর জুন মাস থেকে শুরু হয়েছে বিরাটের পরপর নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত। যেমন গতবার টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পরই তিনি ঘোষণা করেন যে আর টি২০ ফরম্যাটে তিনি খেলবেন না। এবছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার গাভাসকর সিরিজ খেলার পর বিরাট জানিয়েছিলেন ঘনিষ্ঠমহলে, তিনি চান ইংল্য়ান্ডে খেলতে যেতে। কিন্তু রোহিত শর্মার টেস্ট অবসরের কয়েকদিনের মধ্যেই গতবার টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নেন কোহলিও।
তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও থাকতে পারে, কারণ তিনি শেষ ১০ টেস্টে মাত্র ১টি শতরান করেছেন। তবে বিরাটের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা সব ফরম্যাটেই এক। সাম্প্রতিক পারফরমেন্স তাঁর ভালো না হলেও অনেকেই ইংল্যান্ড সিরিজে কোহলিকে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর টেস্ট অবসর, তাঁকে এই সিরিজ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। ক্রিকেটমহলে বিরাটের অবসরের পিছনে অনেকে অনেক কারণ খুঁজে পেলেও ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি জিওফ্রে বয়কট মনে করছেন, অত্যাধিক ক্রিকেটের জন্যই বোধহয় বিরাট হাঁপিয়ে উঠেছিল। কারণ আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভারত সারা বছরই সিরিজ খেলে কোনও না কোনও ফরম্যাটে। এছাড়াও আইপিএল রয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আরসিবির হয়ে আইপিএল জেতা বিরাটকে নিয়েই তাই বয়কট বলছেন, ‘ভারত যেহেতু প্রচুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে, বিশ্রামের সময় কম। তাই একটা সময় মানসিক ক্লান্তি চলেই আসে। সে যতই দক্ষ বা ভালো ক্রিকেটার কেউ হোক না কেন। মানসিকভাবে যদি কেউ তরতাজা না থাকে, তাহলে সেটা তাঁর খেলাতেও প্রভাব ফেলে ’।
যদিও বিরাটের ক্ষেত্রে আদৌই এই যুক্তি প্রযোজ্য কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ বিরাট কোহলি শেষ কয়েক বছরে খুবই সিলেক্টিভ কিছু সিরিজই খেলেছেন। যেমন টি২০ বিশ্বকাপের পর তিনি শ্রীলঙ্কায় ওডিআই সিরিজ খেলতে গেছিলেন। এরপর টেস্ট সিরিজগুলোয় কোহলি খেলেন এবং ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তারপরেই কোহলি হঠাৎ করে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিজের টেস্ট অবসর ঘোষণা করেন।