সেমিফাইনালের মতো সিনিয়র উইমেন্স ইন্টার জোনাল মাল্টি-ডে ট্রফির ফাইনালেও দুরন্ত বোলিং দীপ্তি শর্মার। তাঁকে যথাযথ সঙ্গত করেন তিতাস সাধু। যদিও খেতাবি লড়াইয়ে মিন্নু মণির নেতৃত্বাধীন দক্ষিণাঞ্চলকে বাগে পেয়েও চেপে ধরতে পারেনি দীপ্তি শর্মার পূর্বাঞ্চল।
পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সিনিয়র উইমেন্স ইন্টার জোনাল মাল্টি-ডে ট্রফির ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণাঞ্চল। তারা প্রথম দিনেই ৫৪.৫ ওভার ব্যাট করে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ১৩৩ রানে। অরুন্ধতী রেড্ডি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫৭ রান করেন। ২৯ রান করেন তমন্না নিগম। পূর্বাঞ্চলের হয়ে প্রথম ইনিংসে দীপ্তি শর্মা ও তিতাস সাধু ৪টি করে উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চল প্রথম দিনের খেলা শেষ করে তাদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১০৮ রান তুলে। তারা ৩৪ ওভার ব্যাট করে। সুতরাং, ম্যাচের প্রথম দিনেই দু'দলের মিলিয়ে মোট ১৫টি উইকেট পড়ে। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে পূর্বাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১২৯ রানে। তারা সাকুল্যে ৪৩.৪ ওভার ব্যাট করে।
অর্থাৎ, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রথম ইনিংসের নিরিখে লিড নিতে ব্যর্থ হয় পূর্বাঞ্চল। পরিবর্তে দক্ষিণাঞ্চল এগিয়ে থাকে ৪ রানে। দীপ্তি শর্মা ২২, রিচা ঘোষ ২৫, রিজু সাহা ২২ ও দূর্গা মুর্মু ২৩ রান করেন। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে প্রথম ইনিংসে একাই ৫টি উইকেট তুলে নেন ক্যাপ্টেন মিন্নু মণি। সজীবন সজনা নেন ২টি উইকেট।
দ্বিতীয় দিনেই দক্ষিণাঞ্চল তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৭৯ রানে। তারা সাকুল্যে ৭০.৫ ওভার ব্যাট করে। এম দূর্গা ৬৪ ও মিন্নু মণি ৩১ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেওয়া দীপ্তি শর্মা দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট পকেটে পোরেন। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে ফাইনালে মোট ১০টি উইকেট নেন পূর্বাঞ্চলের ক্যাপ্টেন। সেমিফাইনালেও দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন দীপ্তি।
সুতরাং, প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য পূর্বাঞ্চলের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৮৪ রানের। পূর্বাঞ্চল দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের শেষ ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তোলে। তারা ব্যাট করে ১৩.১ ওভার। অর্থাৎ, ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেও দু'দলের মিলিয়ে মোট ১৭টি উইকেট পড়ে। জিততে শেষ ২ দিনে পূর্বাঞ্চলের দরকার আরও ১৫৪ রান। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে দক্ষিণাঞ্চলের দরকার ৮টি উইকেট।