আইপিএলে জয়ে ফিরল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। পার্পেল ব্রিগেড প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠে আরসিবির বিরুদ্ধে খারাপভাবে হেরেছিল। অবশ্য অসমে বারসাপারা স্টেডিয়ামে রাজস্থানের বিরুদ্ধে হাসতে হাসতেই জিতল আজিঙ্কা রাহানের দল। লক্ষ্যমাত্রা কম থাকায় কোনও তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে রান তুলল কেকেআর। ৯৭ রানে অপরাজিত থাকলেন কুইন্টন ডি কক।
‘এখনই বাড়ছে না WPLর দল’! পাঁচ দল নিয়েই হবে পরের বছরের লিগ, জানালেন IPL চেয়ারম্যান!
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। গুয়াহাটির বারসাপারা স্টেডিয়ামের পিচে তেমন ঘাস ছিল না। তাই ধারাভাষ্যকাররা আগেই বলছিলেন, যে উইকেটে স্পিনাররা পরের দিকে একটু সুবিধা পেতে পারে। যদিও কেকেআরের স্পিনাররা শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকেন রাজস্থানের ব্য়াটারদের বিপক্ষে।
স্পিনাররাই কেকেআরকে অ্যাডভান্টেজ দেন
এই ম্যাচে খেলেত পারেননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা ক্রিকেটার সুনীল নারিন। তাঁর অভাব অবশ্য বরুণ চক্রবর্তী, মইন আলিরা বল হাতে টের পেতে দিলেন না। ৪ ওভারে বরুণ চক্রবর্তী নিলেন ২ উইকেট, দিলেন মাত্র ১৭ রান। নারিনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া মইন আলিও নজর কাড়লেন। তিনিও নিলেন জোড়া উইকেট, চার ওভারে দিলেন ২৩ রান। পেসার বৈভব অরোরা ৩৩ রানে ২ উইকেট তুলে নিলেন।
২৪ বলে ২৯ রান করেন যশস্বী জসওয়াল, ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে রিয়ান পরাগ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন, যদিও তাঁকে বেশি বাড়তে দিলেন না বরুণ চক্রবর্তী। সঞ্জু স্যামসন করলেন মাত্র ১৩ রান। ধ্রুব জুরেল ৩৩ রান এবং ৭ বলে ১৬ রানের ক্যামিও খেলেন জোফ্রা আর্চার। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ করে রাজস্থান রয়্যালস।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ মইন আলি
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য সহজ ম্যাচ নিজেরাই কঠিন করে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অধিনায়ক রাহানে নিজে এলেন না ওপেন করতে। পাঠানো হল নারিনের পরিবর্তে মইন আলিকে, যিনি সাধারণত ওপেনিং করেন না। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও আসেননা ওপেনিং করতে। তিনি ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থও হলেন। করলেন ১২ বলে মাত্র ৫ রান। কুইন্টন ডি কক অবশ্য টিকে যাওয়ায়, তিনি দলকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে গেলেন।