ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে গতবার গোটা মরশুমই ভালো খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গৌতম গম্ভীরের দল দুরন্ত ক্রিকেট খেলেছিল। টপ অর্ডারের পারফরমেন্স এতই ভালো ছিল যে রিঙ্কু সিং, রমনদীপ সিংরা সেভাবে সুযোগই পাননি ব্যাটিং করতে আসার, তাই তাঁদের রান সংখ্যাও ছিল অনেক কম। সুনীল নারিন- ফিল সল্ট ওপেনিংয়েই বহু ম্যাচে নাইটদের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন।
Indian Cricket- দলীপ ট্রফিতে ফিরছে পুরনো ফরম্যাট! ৪ দল নয়, এবছর খেলবে ৬ দলই! আসর বসছে বেঙ্গালুরুতে
এবার অবশ্য কেকেআরের সেই দল অনেকটাই বদলে গেছে। কোর টিম এক রাখলেও দলের দুই তারকা ফিল সল্ট এবং মিচেল স্টার্ককে ধরে রাখতে পারেনি নাইটরা। স্টার্ক প্রথম ম্যাচে নেমেই ৩ উইকেট নিয়েছেন, আর সল্ট ইডেনে এসে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস খেলে তাঁর নয়া দল আরসিবিকে জিতিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রায় ২৪ কোটির বেঙ্কটেশ আইয়ার প্রথম ম্যাচেই দাহা ফ্লপ করেছেন।
ব্যাটিংয়ে এগিয়ে রাজস্থান?
গত ম্যাচে বুড়ো রাহানে যদি নাইট রাইডার্সকে না টানতেন, তাহলে লজ্জাজনক হারের মুখে পড়তে হত নাইট রাইডার্সকে। এরই মধ্যে আজ গুয়াহাটির বারসাপারা স্টেডিয়ামে কেকেআরের পরের ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। দুই দলই গত ম্যাচে হেরেছিল, তাই গতবারের প্লে অফে যাওয়া দুই দলই মরিয়া থাকবে এই ম্যাচে জয় তুলে নিতে। কেকেআর ইডেন গার্ডেন্সে তাঁদের প্রথম ম্যাচে করেছিল ১৭৪ রান, সেখানে ম্যাচ হারলেও সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান করেছিল ২৪২।
কামাখ্যা মন্দিরে হাজির নাইট রাইডার্স
এরই মধ্যে জয়ের ভাগ্য ফেরাতে কলকাতা নাইট রাইডার্স দল শরণাপন্ন হল মা কামাখ্যার। গুয়াহাটিতে ম্যাচ হওয়ায় নাইট অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে, কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, সিইও বেঙ্কি মাইসোর, স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, রমনদীপ সিংরা গিয়ে পুজো দিয়ে এলেন কামাখ্যা মন্দিরে। সেখানে গিয়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা করলেন এবছরটাও যেন দলের ভালোই কাটে।
একঝলকে কামাখ্যা মন্দিরে নাইটদের ভিডিয়ো
কিছুদিন আগেই আইপিএলের ট্রফি টুরের সময় কলকাতা নাইট রাইডার্স দল ট্রফি নিয়ে কামাখ্যা মন্দিরে ঘুরে এসেছিলেন। এর আগেও নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটাররা এখানে পুজো দিয়ে গেছেন। প্রসঙ্গত কালিঘাট মন্দিরেও নাইট খেলোয়াড়দের আইপিএল শুরুর আগে পুজো দিতে দেখা গেছে নিয়ম করে।
কেকেআরকে জয়ে ফিরতে গেলে টিম গেম দরকার
গত ম্যাচে দেখা গেছে, কলকাতা নাইট রাইডার্স দল একদমই দলগতভাবে ভালো খেলতে পারেনি। এককভাবে রাহানে বা নারিন রান করে দিলেও গতবারে সল্ট-নারিনের মতো এবারের ওপেনিং জুটি ক্লিক করেনি। বোলিংয়েও স্পিনাররা ইডেনের উইকেটে তেমন সুবিধা পাননি, ফলে বরুণ-নারিনরা একা হাতে আর কেকেআরকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। আর রাসেল, রিঙ্কুরাও চেনা বিধ্বংসী ফর্মে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।