টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-এর ডু-অর-ডাই ম্যাচে আমেরিকাকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল ইংল্য়ান্ড। হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত ছিল। তবে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য জোস বাটলারদের দরকার ছিল দাপুটে একটা জয়।
রবিবার ব্রিজটাউনে ক্রিস জর্ডন ও জোস বাটলারের যুগলবন্দিতে আমেরিকাকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। সেই সুবাদে সুপার এইট গ্রুপ-টুয়ের শীর্ষে ওঠে তারা। ব্রিটিশরা শেষ চারের টিকিট পকেটে পোরায় দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ কোয়ার্টার ফাইনালের রূপ নেয়। এই ম্যাচে যারা জিতবে, গ্রুপ-টু থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে যাবে। যারা হারবে, বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে।
রবিবার ব্রিজটাউনে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আমেরিকা। তারা ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। একসময় ৫ উইকেটে ১১৫ রান তোলে আমেরিকা। তবে তারা শেষ ৫ উইকেট হারায় নতুন করে কোনও রান যোগ না করেই। অর্থাৎ, শূন্য রানে আমেরিকার শেষ ৫ উইকেটের পতন হয়।
আমেরিকার হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান সংগ্রহ করেন নীতীশ কুমার। ২৪ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ২৯ রান করেন কোরি অ্যান্ডারসন। তিনি ১টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ২১ রান করেন হরমীত সিং। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া স্টিভেন টেলর ১২, আন্দ্রিজ গাউস ৮, অ্যারন জোনস ১০ ও মিলিন্দ কুমার ৪ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি শ্যাডলি, আলি খান, কেনজিগে ও সৌরভ নেত্রভালকর।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে হ্যাটট্রিক-সহ ৪ উইকেট দখল করেন ক্রিস জর্ডন। তিনি ২.৫ ওভারে ১০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন স্যাম কারান ও আদিল রশিদ। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন রিস টপলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
ইংল্যান্ড ১৮.৫ ওভারের মধ্যে ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত ছিল তাদের। তবে ততক্ষণ অপেক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি বাটলাররা। ইংল্যান্ড ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১১৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৬২ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা।
জোস বাটলার ৬টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৮৩ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২১ বলে ২৫ রান করে নট-আউট থাকেন ফিল সল্ট। ৪ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেওয়া আদিল রশিদ ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। সুপার এইটের ৩টি ম্যাচই হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় আমেরিকা।