ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন চেতেশ্বর পূজারা। তিন অঙ্কে পৌঁছেও লড়াই জারি রেখেছিলেন তিনি। সেঞ্চুরিতেই যে পূজারা সন্তুষ্ট নন, সেটা বোঝা গিয়েছিল তাঁর জমাট ব্যাটিং দেখেই। তৃতীয় দিনে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেও রান তোলায় বিরাম দেননি টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার। শেষমেশ সৌরাষ্ট্র ব্যাট ছেড়ে দেওয়ায় ত্রিশরানের সুযোগ হাতছাড়া হয় চেতেশ্বরের।
রাজকোটে ঝাড়খণ্ডের ১৪২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সৌরাষ্ট্র দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে তাদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৪০৬ রান তুলে। পূজারা ১৫৭ ও প্রেরক মানকড় ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলা শুরু করে পূজারা অনায়াসে টপকে যান ব্যক্তিগত দ্বিশতরানের গণ্ডি। সেঞ্চুরির আগে থামেননি প্রেরকও।
পূজারা ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭২ বলে। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬২ বলে। চেতেশ্বর ১৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যান ১৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২২ বলে। তিনি ম্যাচের তৃতীয় দিনে দ্বিশতরান পূর্ণ করেন ২৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১৭ বলে।
আরও পড়ুন:- ব্যাটে-বলে দুরন্ত মুশির, ক্যাপ্টেন উদয়ের শতরানে ফের দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারতের যুব দল
সৌরাষ্ট্র তৃতীয় দিনের লাঞ্চে তাদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৫৬৬ রান সংগ্রহ করে। তারা সাকুল্যে ১৫৩ ওভার ব্যাট করে সেই পর্যন্ত। লাঞ্চে প্রেরক মানকড় অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ৯৯ রানে। লাঞ্চের ঠিক পরেই তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান। প্রেরক তিন অঙ্কের গণ্ডি টপকান ১২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭৫ বলে।
প্রেরক মানকড় সেঞ্চুরি করার পরেই সৌরাষ্ট্র তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। তারা ১৫৬ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৫৭৮ রান সংগ্রহ করে। দল ব্যাট ছেড়ে দেওয়ায় পূজারাকে ব্যক্তিগত আড়াইশো রানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যেতে হয়। ৩০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫৬ বলে ২৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রেরক নট-আউট থাকেন ১৭৬ বলে ১০৪ রান করে।
আরও পড়ুন:- WTC Points Table: পাকিস্তানকে চুনকাম করে ভারতের থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের শীর্ষস্থান ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া
সুতরাং, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ঝাড়খণ্ডের থেকে ৪৩৬ রানে এগিয়ে থাকে সৌরাষ্ট্র। ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন আশিস কুমার। বিকাশ সিং নেন ৯৭ রানে ১টি উইকেট। ৯৪ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন রাহুল শুক্লা। ১২৪ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন অনুকূল রায়। ৩১ ওভারে ১৩০ রান খরচ করেও উইকেট পাননি শাহবাজ নদিম। এছাড়া ১১ ওভারে ৪১ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন আদিত্য সিং।