শুভব্রত মুখার্জি: ক্রিকেটের তিনটি বিভাগ অর্থাৎ ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং। এই তিন বিভাগের গুরুত্ব বর্তমান দিনের ক্রিকেটে অপরিসীম। যে কোনও দলের কাছেই সম্পদ অলরাউন্ডাররা। চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে এমন এক সম্পদকে যেন আবিষ্কার করল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। বয়স মাত্র ২০। আর এই বয়সেই ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে বল হাতে এবং পরবর্তীতে ব্যাট হাতে এক অবিশ্বাস্য লড়াই লড়লেন দুনিথ ওয়েলালাগে।তবে দুর্ভাগ্যবশত দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারলেন না তিনি। তবে দলকে জেতাতে না পারলেও ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বিরল নজির গড়লেন তিনি। বলা ভালো, তিনি স্পর্শ করলেন ৪০ বছর আগে করা ভারতের কিংবদন্তি কপিল দেব নিখাঞ্জের বিরল নজির।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার টানা ১৩টি ODI-এ জয়ের ধারায় ফুলস্টপ লাগাল ভারত, উঠল Asia Cup-এর ফাইনালে
প্রসঙ্গত ওয়ানডে ইতিহাসে এই নজির গড়া ক্রিকেটারের সংখ্যা মাত্র দুই। প্রথম জন কপিল দেব। আর দ্বিতীয় জন শ্রীলঙ্কার তরুণ দুনিথ ওয়েলালাগে। কী সেই নজির? কোনও একটি নির্দিষ্ট ওয়ানডে ম্যাচে (পুরুষদের) পাঁচ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৪০-এর বেশি রান এবং একই সঙ্গে দু'টি ক্যাচ ধরার নজির গড়ে কপিল দেবের ৪০ বছর আগেকার নজিরকে স্পর্শ করলেন দুনিথ ওয়েলালাগে।
উল্লেখ্য ১৯৮৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই নজির গড়েছিলেন কপিল দেব।যদিও সেই ম্যাচে ভারতকে হারতে হয়েছিল। আর এদিন এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে এই নজির গড়লেন দুনিথ ওয়েলালাগে। কাকাতলীয় ভাবে এদিনের ম্যাচেও হেরে গেল দুনিথ ওয়েলালাগের শ্রীলঙ্কা।
এদিন ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। প্রথম উইকেটে রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল জুটি ৮০ রানের একটি দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়ে। তার পরেই ভারতের ইনিংসে ধস নামান দুনিথ ওয়েলালাগে। পরপর ফিরিয়ে দেন গিল, বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে। পরবর্তীতে কেএল রাহুল এবং হার্দিক পান্ডিয়াকেও আউট করেন তিনি। এদিন ১০ ওভার বোলিং করে ৪০ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট নেন দুনিথ ওয়েলালাগে।
পাশাপাশি আসালঙ্কার বলে ইশান কিষান এবং নিজের বলে কেএল রাহুলের ক্যাচ নেন দুনিথ ওয়েলালাগে। জবাবে মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংস শেষে ৪৬ বল খেলে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে যান দুনিথ। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি চার এবং একটি ছয়ে। ফলে দিন শেষে ৪১ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের ফাইনালে চলে গেল ভারতীয় দল।