লাগাতার দুরন্ত ব্যাটিং অভিমন্যু ইশ্বরণের। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর স্বপ্নের দৌড় চলেছে। গতমাসে দলীপ ট্রফিতে নজর কাড়েন সকলের। শেষ ৪ সপ্তাহে ৪টি শতরান করেছেন তিনি। দলীপ ট্রফির দ্বিতীয় রাউন্ডে অপরাজিত ১৫৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিমন্যু। সেই থেকে অনবদ্য ফর্ম বজায় রেখে চলেছে। এরপর দলীপের তৃতীয় রাউন্ডের ফের একবার শতরান করেন তিনি। তারপর ইরানি কাপে ১৯১ রান করেন, একটুর জন্য হাতছাড়া করেন ডবল সেঞ্চুরি। গত সপ্তাহে রঞ্জি ট্রফ্রির ম্যাচেও একই ফর্ম দেখা যায় তাঁর। বাংলার হয়ে ১২৭ রান করেন অভিমন্যু। এত ভালো খেলার পরেও জাতীয় দল থেকে ব্রাত্য থাকতে হয়েছে তাঁকে। অনেকে মনে করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে ভারতীয় দলে তাঁর নাম থাকবে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিমন্যু স্বীকার করেন নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত তাঁকে আরও ‘স্পষ্টতা’ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ছিলাম যে এখন আমাকে রঞ্জি ট্রফি খেলা চালিয়ে যেতে হবে। তাই আমি শুধু আমার প্রস্তুতিতে ফিরে গিয়েছিলাম এবং নিশ্চিত করেছিলাম যে আমি কল না পাওয়ার কারণে আলাদা কিছু করব না। যদি আমার মনে এনিয়ে কিছু আসে তখন আমি আমার বন্ধু বা কোচের সঙ্গে চ্যাট করি এবং এটি আমার মাথা থেকে বের করে দিই’। গত ৪ বছরে ২ বার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ প্রায় হয়ে গিয়েছিল ইশ্বরণের। শেষবার গতবছর সাউথ আফ্রিকা সিরিজে রুতুরাজ গায়কোয়াড় চোট পাওয়ায় তিনি দলে জায়গা পেয়েছিলেন। তবে খেলা হয়ে ওঠেনি।
অভিমন্যু বলেন, ‘এটা নিশ্চিত একটি চ্যালেঞ্জ। কখনও কখনও, আপনি কেবল সবকিছু ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে চান। কিন্তু তারপর আপনি বাস্তবতার সম্মুখীন হন। ঘরোয়া ক্রিকেটে আপনি যেগুলো ভালো করেছেন সেটাই আপনাকে দলে জায়গা দিয়েছে। আমি খেলার সুযোগ পাইনি, তার মানে এই নয় যে আমাকে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। এই মুহুর্তে আমার কাজ নিজেকে প্রস্তুত রাখা এবং যখনই সুযোগ পাব তখনই সেটাকে কাজে লাগানো’।
সম্প্রতি জানা যায়, অভিমন্যু রোহিত শর্মার জায়গায় অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টে দলে থাকতে পারেন। আসলে কিছু দিন আগে এক রিপোর্ট প্রকাশ হয়। যেখানে বলা হয়, রোহিত শর্মা হয়তো ব্যক্তিগত কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি খেলতে পারবেন না। এরপরেই অভিমন্যু ইশ্বরণ সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারে বলে রটে যায়। অন্যদিকে আরেক রিপোর্টে দাবি করা হয়, রুতুরাজ গায়কোয়াড় রোহিতের জায়গায় খেলতে পারেন। এই বিষয় অভিমন্যু বলেন, ‘আপনি এমন পরিস্থিতিতে খেলছেন যেখানে টেস্ট সিরিজ খেলা হবে। সুতরাং আপনার কাছে এটিতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার সুযোগ আছে। এমনকি যদি আপনি একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে থাকেন, আপনি নিজেকে জায়গার বাইরে বোধ করবেন না। এটি একটি বাড়তি সুবিধা দেবে’।