বিশ্বের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার বলে কথা। তার পরিকাঠামোও যে অভাবনীয় স্তরে হবে, তা বলাই বাহুল্য। বেচারাম মান্না জানান, এই প্রকল্পের পিছনে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হতে পারে।
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার।
চমকের জন্য এইটুকুই যথেষ্ট। সিঙ্গুরের ইন্দ্রখালিতেই গড়ে উঠবে এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার। সেই বাজারের মোট এলাকা কতটা জানেন? প্রায় ৩২০ বিঘা জমি জুড়ে থাকবে এই বিশাল পাইকারি বাজার।
বিশ্বের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার বলে কথা। তার পরিকাঠামোও যে অভাবনীয় স্তরে হবে, তা বলাই বাহুল্য। বেচারাম মান্না জানান, এই প্রকল্পের পিছনে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হতে পারে।
এর জন্য রাস্তা, জল সরবরাহ, রেস্ট হাউজের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজন পর্যাপ্ত এটিএম, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। তাছাড়া অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কথাও আগেভাগে ভেবে রাখতে হবে। ফলে বিনিয়োগের পরিমাণ নেহাত্ কম নয়।
কর্মসংস্থান বাড়বে
প্রথমত এর ফলে কলকাতা, শহরতলি, বা নিকটবর্তী গ্রাম-মফস্বলের বাজার, রাস্তাঘাটে চাপ কমবে। দ্বিতীয়ত একটি নির্দিষ্ট, সংগঠিত বাজার হলে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের রুজিরুটি হতে পারে এই পাইকারি বাজার।
শুধু তাই নয়। এই বাজারের ফলে পরিবহন, আড়ত, হিসাবরক্ষা ও অন্য বিভিন্ন খাতে শাখা ব্যবসা গড়ে উঠবে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে সিঙ্গুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু জমি?
সিঙ্গুরে জমি নিয়ে দড়ি টানাটানির ইতিহাস কারও অজানা নয়। সেখানে বাজার তৈরির জন্য এত জমি কে দেবে? বেচারাম মান্না অবশ্য দাবি করেছেন, 'জমি নিতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে লাঠালাঠি করতে হয়নি। মানুষ স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছেন।'