সংখ্য়ালঘু-সংখ্য়াগুরু নিয়ে মন্তব্য করে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এমনকী তৃণমূলের তরফ থেকেও এই মন্তব্যের নিন্দা করা হয়েছিল। এবার সেই মন্তব্য তিনি কেন করেছিলেন তার ব্যাখা দিলেন ফিরহাদ নিজেই।
বৃহস্পতিবার ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ দাবি করেন, আমার মন্তব্যের অপব্যাখা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, সব ধর্মকে হৃদয় দিয়ে সম্মান করি। কিন্তু আমার নিজের ধর্ম আমি ১০০ শতাংশ মানি। পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষার অগ্রগতির কথা বলা যদি অন্যায় হয় তাহলে আমি নিশ্চিতভাবে আমি অন্য়ায় করেছি। সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্যকেও একহাত নেন তিনি।
সেই সঙ্গেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি পরোয়া করি না। কারণ আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথানত করা যায় না। কর্মটাই হল আমার জীবন। আর সেটা করাচ্ছেন আল্লাহতালা। তিনি থাকতে আমার কোনও ক্ষতি হবে না। এমনকী হিন্দু বন্ধুদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ফিরহাদ। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন তাহলে তাঁর দল কেন জানিয়ে দিয়েছিল তারা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন।
এদিকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কতবার সাফাই দেবেন?তিনি সরকারের মুখ নাকি জামাতদের মুখ?
কী বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম?
অমিত মালব্য সহ একাধিক বিজেপি নেতা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। এনিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে এবার দলের একাংশের সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে ফিরহাদ হাকিমকে।
সেখানে শোনা গিয়েছে ফিরহাদ বলছেন,
‘আমরা এমন একটা সম্প্রদায়ের লোক, যে সম্প্রদায়....বাংলায় তো আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু ভারতে মাত্র ১৭ শতাংশ। আর আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বলা হয়। কিন্তু আমরা নিজেদের সংঘ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করি না। আমরা ভাবি যে আমাদের উপরে যদি আল্লাহের রহমত থাকে, তালিম যদি আমাদের পক্ষে থাকে, তাহলে একদিন আমরা মেজরিটির থেকেও মেজরিটি হয়ে যেতে পারি। আমরা যদি নিজেদের শক্তি দিয়ে এটা অর্জন করতে পারি, তাহলে সেটা আল্লাহের কৃপা হবে।’
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও এনিয়ে সমালোচনা করেছিলেন
তিনি বলেছিলেন, হাকিম সাহেবের বক্তব্য শুনেছি। এইসব বলার আগে ভেবেচিন্তে বলা উচিত। উনি বলতে চেয়েছেন এই রাজ্যে মুসলিম সমাজের মানুষরা সংখ্যালঘু নয়, সংখ্য়াগরিষ্ঠতায় চলে আসব। আমি ওঁকে কোরান পড়তে বলব। আল্লাহ গোটা বিশ্বকে সৃষ্ঠি করেছেন। উনি এক শব্দে বিশ্বকে যেমন সৃষ্টি করতে পারেন তেমনি এক শব্দে বিশ্বকে শেষ করতে পারেন। তিনি কোন সম্প্রদায়ের মানুষকে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখবেন, কোন সম্প্রদায়ের মানুষকে তাড়াতাড়ি ওঠাবেন সেটা তিনিই জানেন। হাকিম সাহেব কেন বলছেন সেটা তিনিই জানেন।…