এর আগে কলকাতায় ঠিকা জমিতে বহুতল তুলতে গেলে ছাড়পত্র নিতে হত কলকাতা পুরসভার থেকে। ওদিকে হাওড়ার ক্ষেত্রে সেই ছাড়পত্র মিলত হাওড়া পুরসভা থেকে। তবে এবার থেকে এই ছাড়পত্র মিলবে কেএমডিএ-র থেকেই। এবার থেকে ঠিকা জমিতে বাড়ি করতে চেয়ে আবেদন করলে ১৫ দিনের মধ্যে লিজ ডিড দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা ও হাওড়ার ঠিকা জমিতে বহুতল তোলা নিয়ে আইন সংশোধন বিধানসভায়
ঝুপড়িতে নিজেদের জমিতে যাতে বহুলত তোলা যায়, তার জন্যে বিধনাসভায় নয়া সংশোধনী বিল পাশ করাল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, ঠিকা জমিতে যাতে বাড়ি তোলা যায়, তার জন্যে দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল ঠিকা টেন্যান্সি (সংশোধনী) বিল পাশ করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতায় ঠিকা জমিতে বহুতল তুলতে গেলে ছাড়পত্র নিতে হত কলকাতা পুরসভার থেকে। ওদিকে হাওড়ার ক্ষেত্রে সেই ছাড়পত্র মিলত হাওড়া পুরসভা থেকে। তবে এবার থেকে এই ছাড়পত্র মিলবে কেএমডিএ-র থেকেই। এবার থেকে ঠিকা জমিতে বাড়ি করতে চেয়ে আবেদন করলে ১৫ দিনের মধ্যে ঠিকা জমির লিজ ডিডের পাশাপাশি ঠিকা মিউটেশন দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী ঠিকা ভাড়াটে বিল্ডিং প্ল্যানের জন্য আবেদন করলে অনুমোদন মিলবে ১৫ দিনের মধ্যে। (আরও পড়ুন: 'চিঠি হাতে নিলেই নাগরিকত্ব যাবে...', আধার নিষ্ক্রিয় বিতর্কে জেরবার বাংলা)
নয়া সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে ঠিকা জমিতে বাড়ি তোলা অনকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আইনি জট থাকা জমির ক্ষেত্রেও সমস্যার সমাধানসূত্র বের করা হবে দুই মাসের মধ্যেই। এই আবহে সংশোধনী প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য, সংশোধনীর ফলে এই আইনের সঙ্গে কেএমডিএ যুক্ত হওয়ায় কলকাতা এবং হাওড়ায় জমি, ঝুপড়ি থাকবে না। এছাড়াও এই আইনের ফলে বেআইনি বাড়ি তৈরিও থামানো যাবে।
এদিকে শনিবারই এসএন ব্যানার্জি রোডে উদ্বোধন হয়েছে নতুন ঠিকা কন্ট্রোলার অফিসের। এই অফিসেই কলকাতার প্রতিটি ঠিকা জমির অ্যাসেসমেন্ট সহ সব তথ্য থাকবে। এই আবহে ঠিকা জমিতে বাড়ি তুলতে সরকারি অফিসে অফিসে ঠোকর খেতে হবে না। এই বিষয়ে পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী চান যাতে ঝুপড়িতে থাকা সবাই যেন পাকা বাড়িতেই থাকতে পারেন। এই কারণেই ঠিকা ব্যবস্থাকে নগরোন্নয়ন দফতরের আওতায় আনা হয়েছে।