অনেকটা আশা–আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পথে বেরনো হয়েছিল। করোনাভাইরাস আবহে বান্ধবীকে নিয়ে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু প্রণয়টা আর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছল না। মধ্যরাতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে, শহর কলকাতাতেই এদিন দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন আরও একজন। এই পৃথক দুই দুর্ঘটনা পুজোর মধ্যেই পরিবারে বিষাদের সুর বয়ে নিয়ে এল।প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে। বান্ধবীর সঙ্গে মোটরবাইকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন ২৯ বছরের ওই যুবক। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত আড়াইটে। তখনই দ্রুত গতিতে থাকা মোটরবাইক থেকে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জখম হন তাঁর সঙ্গে থাকা তরুণী প্রেমিকাও। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।দ্বিতীয় ঘটনাটি দশমীর ভোরে মানিকতলায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি মোটরবাইক। গুরুতর জখম হন চালক ও আরোহী। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন আহত মোটরবাইক আরোহী। এই দু’জনের কারোর মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে খবর।উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছরই পুজোর শহর কলকাতার বুকে কার্যত দাপিয়ে বেড়ায় মোটরবাইক। বেপরোয়া গতিই মৃত্যু ডেকে এনেছে বারবার। এবারও এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা। শুধু তিলোত্তমা নয়, নবমীর রাতে জেলাতেও পথের বলি বেশ কয়েকজন। পথ দুর্ঘটনা পুজোর কয়েকটা দিন বেড়ে গিয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর।