এই বৌবাজারেই ফাটল ধরেছিল গত বছরে। বিপর্যস্ত হয়েছিল একাধিক বাড়ি। তার জেরে চাপা টেনশনে ছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তারা। শেষপর্যন্ত মোটের উপর নির্ঝঞ্জাটে বিপদসঙ্কুল বৌবাজার পেরিয়ে গেল টানেল বোরিং মেশিন 'উর্বী'। তার জেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মেট্রো কর্তারা। পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ ধরে সেটি আপাতত শিয়ালদহের দিকে এগোচ্ছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর খননের সময় গত বছর ৩১ অগস্ট পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে ধস নামে। স্যাঁকরাপাড়া লেন এবং দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক ফাটল দেখা দেয়। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় সুড়ঙ্গ খননের কাজ। সুড়ঙ্গেই আটকে থাকে অপর টানেল বোরিং মেশিন 'চণ্ডী'। দীর্ঘ টালবাহানার পর আদালতের নজরদারিতে গত ফেব্রুয়ারিতে ফের কাজ শুরু হয়। তার আগে ধস রোখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে জীর্ণ বাড়ির পাশ দিয়ে সুড়ঙ্গ যাওয়ায় উদ্বেগে ছিলেন মেট্রোকর্তারা। কয়েকটা বাড়িতে ফাটলও দেখা দেয়। তার জেরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ালেও কাজ চলছিল।
কিন্তু মাসখানেক সুড়ঙ্গ খননের পর লকডাউনের জেরে থমকে যায় সেই কাজ। শেষপর্যন্ত আনলক-১ শুরুর পর গত শুক্রবার থেকে ফের সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু হয়। নেওয়া হয় বাড়তি সতর্কতা। তবে বিপর্যয় মোকাবিলার যে বিশেষজ্ঞ জন এন্ডিকটেরের তত্ত্বাবধানে কাজ হচ্ছিল, তিনি দ্বিতীয় দফার কাজের জন্য কলকাতায় আসতে পারেননি। হংকংয়ে বসেই যাবতীয় কাজকর্মের কড়া নজর রেখেছেন তিনি। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন।
মেট্রো কর্তারা জানিয়েছেন, সতর্কতার সঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের কাজ শেষ করাই লক্ষ্য। তারপর শিয়ালদহ থেকে 'উর্বী'-তে তুলে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে বৌবাজারের দিকে বসানো হবে। সেই কাজ শেষ হলে বৌবাজারের কাছে দুটি টানেল বোরিং মেশিন তুলে আনা হবে।