লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ২২ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করা হয়নি। বরং রাজভবন–বিধানসভার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। আর তাতেই তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। এই কারণে মানুষের হয়ে কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলে বিচার চেয়ে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার। বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রায়াত হোসেন সরকার চাইছেন বিধানসভায় অধ্যক্ষের কাছ থেকে শপথবাক্য় পাঠ করতে।
কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শপথের জন্য আজ, বুধবার তাঁদের ডেকে পাঠান রাজভবনে। পাল্টা ওই দুই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস বিআয়ক বলছেন বিধানসভাতেই তাঁরা শপথ নেবেন। তাই সেখানে আসুন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তাই আজ, বুধবার বিধানসভা সিঁড়িতে ধরনায় বসলেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। বিরোধী দলের বিধায়করা বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিক্ষোভ দেখিয়ে থাকেন। সেখানে শাসকদলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধরনায় বসতে দেখে বিধানসভা চত্বরে আলোড়ন পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’, জবাবি চিঠিতে বিজেপিকেই তোপ ডায়মন্ডহারবারের প্রার্থীর
এই ঘটনাকে সামনে রেখে দুই জয়ী প্রার্থী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধরনায় বসেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘শপথবাক্য পাঠের জন্য রাজ্যপালের আসার অপেক্ষা করছি’। তাঁদের সঙ্গে একই জায়গায় বসেছিলেন পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল ইচ্ছাকৃতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করছেন। এটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। সব সময় মনে রাখতে হবে এঁরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাই মানুষকে সেবা করতে ওরা বদ্ধপরিকর। সেটা রাজ্যপালের বোঝা উচিত।’ স্বয়ং পরিষদীয় মন্ত্রীর এই ভূমিকায় রাজভবনের উপর চাপ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।