প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের উল্লেখ করেছে সিবিআই। আর এর পরই সিবিআই তাঁর মক্কেলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চার্জশিটে উল্লেখ হতেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে জারি বিবৃতিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। শিলিগুড়ির বিধায়ক কটাক্ষ করে বলেন, ‘ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি।’
আরও পড়ুন - চাকরি বিক্রির ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চার্জশিটে জানাল CBI
পড়তে থাকুন - চাকরি বিক্রি করে আরও ১০০ কোটি তুলতে চেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ, অভিষেকের ভাগে ২০ কোটি
গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে ২৬ পাতার চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে সুজয়কৃষ্ণের জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে হওয়া বেআইনি নিয়োগের বিনিময়ে ১৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন। টাকা না দিলে ওই প্রার্থীদের নিয়োগ আটকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। নইলে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের গ্রেফতার করিয়ে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। অথবা তাদের প্রত্যন্ত এলাকায় ট্রান্সফার করিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। এই চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চিফ অপারেটিং অফিসার বলে উল্লেখ করা হলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও পরিচয়ের উল্লেখ নেই।
ওদিকে এই চার্জশিটের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই বুধবার দুপুরে বিবৃতি প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মক্কেল ইডি ও সিবিআইকে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। তাঁকে যখন যেখানে ডেকে পাঠানো হয়েছে সেখানে হাজিরা দিয়েছেন। যে নথি চাওয়া হয়েছে সেই নথি জমা দিয়েছেন। তার পরেও সিবিআই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। যেখানে অপরাধের সূত্র অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে EDকে। তারা পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট পেশ করেনি।’
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘যে চার্জশিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটি আমার মক্কেলকে হেনস্থা করার একটা টোপ মাত্র। সিবিআই চার্জশিটে যে দাবি করেছে তার সমর্থনে কোনও নথি বা প্রমাণ পেশ করতে পারেনি তারা। যাতে স্পষ্ট আমার মক্কেলকে ফের একবার অকারণে নিশানা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন - 'বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি ২ দিন দিলেন ফিরহাদ সোহরাবর্দি হাকিম'