আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠল আলোর বেণু—এভাবেই আজ মহালয়া শুরু হচ্ছে। পিতৃপক্ষের অবসান৷ আর আজ থেকে দেবীপক্ষের সূচনা। আগমনীর গানে অতীতকে স্মরণ করে মায়ের আসার অপেক্ষায় প্রহর গোনা শুরু৷ ইতিমধ্যেই মহালয়া উপলক্ষ্যে কলকাতা, হাওড়া–সহ রাজ্যেত বিভিন্ন ঘাটে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে চলছে তর্পণ৷ গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তা। তৎপর কলকাতা পুলিশ এবং রিভার ট্রাফিক পুলিশ। শাস্ত্রমতে দেবীপক্ষের আগের কৃষ্ণ প্রতিপদে মর্ত্যধামে নেমে আসেন পিতৃপুরুষরা৷ অপেক্ষা করেন উত্তরসূরীদের কাছ থেকে জল পাওয়ার৷ মহালয়ার দিন অমাবস্যায় তাঁদের উদ্দেশে জলদানই তর্পণ৷
ঠিক কী দেখা যাচ্ছে? বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট–সহ নানা জায়গায় তর্পণের জন্য ভিড় হয়েছে। হাওড়ার শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমে চলছে তর্পণ। হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। উলুবেড়িয়ার কালীবাড়ি গঙ্গার ঘাটেও তর্পণ চলছে পুলিশি নিরাপত্তায়। হুগলিতে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে তর্পণের জন্য ভিড় হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্পিড বোট নিয়ে গঙ্গাবক্ষে নজরদারি চালাচ্ছে সিভিল ডিফেন্স। চলছে মাইকে প্রচার।
জেলায় ঠিক কী দেখা যাচ্ছে? মহানন্দা ঘাটে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে জল দান করে পিতৃপক্ষের অবসান যেমন ঘটল পাশাপাশি মা দূর্গার চোখ এঁকে দেবীপক্ষের সুচনা করলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। দুই বছরের কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে অবশেষে শারদীয়া দূর্গোৎসবের আগমনী ঘন্টা বেজে গেল। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শিলিগুড়ির লালমোহন মৌলিক ঘাটে তর্পণের জন্য হাজির হন অনেকেই। বেলা বাড়লে বৃষ্টি কমতেই ভিড় বাড়তে থাকে মহানন্দা ঘাটে। শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে মহালয়ায় রীতি মেনেই আঁকা হল মায়ের চোখ। শিলিগুড়ি বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তায় পুরনিগমের পক্ষ থেকে মাইক লাগিয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ায় পাঠ শোনার ব্যবস্থা করা হয়।