
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
আজ, শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ছিল। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মঞ্চই হয়ে উঠল রাজনৈতিক রেষারেষির জায়গা। কারণ হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে পৌঁছতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে উড়ে আসে জয় শ্রীরাম স্লোগান। সরকারি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন তিনি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলেও মঞ্চে ওঠেননি মুখ্যমন্ত্রী। আমলাদের সঙ্গে নীচে বসে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। যার জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম এবং কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু? এই ঘটনা বিজেপিকেই বিপাকে ফেলে দেয়। কারণ বাংলার মানুষ দেখতে পান বিজেপি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান দিতে জানে না। পরিস্থিতির ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির এক রাজনীতিবিদ। দুর্ভাগ্যবশত যাঁকে আমি–সহ ৪০ হাজার লোক খেটে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলাম। ওঁকে আমি প্রাক্তন করেই ছাড়ব। এরকম ঘটনা আরও হবে, যেটা ওঁকে পরে ঘরে বসে দেখতে হবে। একইরকমভাবে ড্রামা আগেও করেছিলেন। আসলে নন্দীগ্রামে আমার কাছে হারটা ভুলতে পারেননি। যতদিন রাজনীতি করবেন এই হারটা মাথায় নিয়েই থাকতে হবে। বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক এবং কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অযথাই মনে করেছেন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে।’
পাল্টা কী বলেছেন কলকাতার মেয়র? এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই ক্ষুব্ধ। বাংলার মানুষও এই ঘটনাকে সমর্থন করেননি। তার উপর শুভেন্দুর মন্তব্যে যেন ঘৃতাহুতি পড়ল। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রামকে অপমান করছে। মন্দিরে, বাড়িতে পবিত্র হয়ে তাঁর নাম নেওয়া উচিত। কিন্তু উত্যক্ত করার জন্য, রেষারেষি করার জন্য, ছ্যাবলামি করার জন্য রামের নাম নেওয়া উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে যে অসভ্যতা করেছে, তাতে যদি তৃণমূল চায়, ভরিয়ে দেবে। তাদের গলা টিপে দেবে। কিন্তু আমরা সৌজন্য দেখাচ্ছি। বিজেপি দলটা সৌজন্যের যোগ্যই নয়। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজে হিন্দু এবং পুজো করেন। এটা নিয়ে ওনার সামনে ছ্যাবলামি করা হচ্ছে। এই করে ওনাকে অপমান করছে না, রামকে অপমান করছে।’
কী বলছেন কুণাল ঘোষ? এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘কাল কা যোগী’ বলেই কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। আর বিজেপি শিবিরকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘রামকে নিয়ে অসভ্যতা করছে বিজেপি। সব কিছুরই একটা স্থান–কাল–পাত্র রয়েছে। আর বিজেপি তো বন্দে ভারতকে আসলে ধন্দে ভারতে পরিণত করেছে। কোনও ট্রেনের যাত্রা শুরু হলে দুগ্গা দুগ্গা বলা উচিত ছিল। অযথা রাম নাম করবেন কেন? স্থান–কাল–পাত্রের জ্ঞান না থাকায় বিজেপি এই কাজ করেছে।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports