বিধানসভায় মুখ্য়মন্ত্রী নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ তোলায় ব্যাপক বিক্ষোভ বিজেপির। কালো পতাকা দেখিয়ে স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করলনে বিজেপি বিধায়করা। তার আগে গোটা বিধানসভায় ছড়িয়ে দিলেন গণনার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া বান্ডিল বান্ডিল ব্যালট। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে ‘গণতন্ত্রের লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দুবাবু।বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়ার্ধে বিধানসভায় ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেলাগাম হিংসা নিয়ে বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির তরফে ৩ জন ও শাসকদলের ৩ জনকে বলতে সুযোগ দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাও।সবার শেষে বলতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নন্দীগ্রামে হারের জন্য শুভেন্দুর কারচুপি দায়ী বলে মন্তব্য করেন। বলেন ২ ঘণ্টা গণনাকেন্দ্রের আলো বন্ধ ছিল। এর পরই সরগরম হয়ে ওঠে আবহাওয়া। বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের এই অংশ কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। শুভেন্দুবাবু বলেন, বিধানসভার প্রথম দিন তিনি নন্দীগ্রামের মানুষকে শুভেচ্ছা জানাতে চেয়েছিলেন। তখন বিষয়টি বিচারাধীন বলে তাঁকে বাধা দেন স্পিকার। এমনকী তাঁর বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাহলে এখন মুখ্যমন্ত্রীকে এবিষয়ে বলতে দেওয়া হল কেন? তাঁর বেলায় কি আইন আলাদা।বিজেপির প্রস্তাব মেনে নেননি স্পিকার। এর পরই স্লোগান দিতে দিতে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তার আগে পকেটে থাকা উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপার বিধানসভায় ছড়িয়ে দেন তাঁরা। এর পর কালো কাপড় দেখাতে দেখাতে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।সাংবাদিকদের শুভেন্দুবাবু বলেন, ২০১৮-র পঞ্চায়েতের থেকেও বেশি ভোট লুঠ হয়েছে এবারে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের থেকেও করুণ ফল হতে চলেছে তৃণমূলের। এই নির্বাচনে রাজ্যে ৩৬টি আসন পাবে বিজেপি।