মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপমান’-এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন গায়ক কবীর সুমন। এককভাবে ‘সত্যাগ্রহ’ করে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস জানালেন, সহনশীলতার অভাব দেখা দিয়েছে। সেজন্য আমন্ত্রিত অতিথিকে অসম্মান করা হয়েছে।রবিবার সকালে লেক মলের কাছে ‘সত্যাগ্রহ’ শুরু করেন বিশিষ্ট গায়ক। পরে গড়িয়াহাটের মোড়েও ধরনা করেন। হাতে ছিল ‘জয় বাংলা’ বোর্ড। তা নিয়ে একেবারেই নিজের মতো প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘বাঙালিকে সম্মান জানানোর জন্য (নেমেছি রাস্তায়)। আর একজন বাঙালিকে তাঁকে অপমান করার জন্য (পড়ুন প্রতিবাদে) (এই সত্যাগ্রহে নেমেছি)।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে স্থান-কালের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘কারও যদি জয় শ্রীরাম বলতে ইচ্ছা করে, বলবেন। সেটা তাঁর বিষয়। কিন্তু একজন আমন্ত্রিত অতিথিকে অপমান করার জন্য (কেন জয় শ্রীরাম বলা হবে)?’গত শনিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মমতা-সহ বিশিষ্টজনরা। সেখানে মমতার ভাষণের জন্য পাঁচ মিনিট বরাদ্দ ছিল। কিন্তু তাঁর নাম ঘোষণা হতেই দর্শকাসন থেকে একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিতে থাকে। তাতেই ক্ষুব্ধ হন মমতা। বিশেষত সেই অনুষ্ঠানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আমন্ত্রিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে ‘রাজনৈতিক’ স্লোগানের প্রতিবাদে ভাষণ দেননি মমতা। জানিয়েছিলেন, সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিকে ডেকে অপমান করা হচ্ছে। তার প্রতিবাদে তিনি কোনও ভাষণ দেবেন না।তবে শুধু কবীর সুমন নন, ভিক্টোরিয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছেন শিল্পীদের একাংশ। হৈমন্তী শুক্লা জানান, বাজেভাবে অসম্মান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নিদেনপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা উচিত ছিল।