আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এই অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর নাগরিক সমাজের পথে নামা এবং আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর করার ঘটনা সকলেই দেখেছেন। এই আবহে এবার নয়া তথ্য সামনে চলে এল। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ অনেক কিছুর সঙ্গে জড়ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। এখানে টাকার খেলা চলত। যারা বুঝতে পারত তারা বহাল তবিয়তে থাকত। আর বাকিরা বোঝেনি। তাই তাদের ঠাঁই হয়েছে উত্তরবঙ্গে। না হলে ছেঁটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত চার বছরে অন্তত তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাতিল করার পিছনে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে আজ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো? এই প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই আজ তাঁরা সিবিআই দফতরে যান বিষয়টি জানতে। এবার সামনে এসেছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল করতে তা বেশি করে করা উচিত। তাহলে নতুন ওষুধ বেশি করে খোলা বাজারে আসবে। তাতে বহুজাতিক কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য কমবে। প্রতিযোগিতার বাজারে তখন টিকে থাকতে গেলে মূল উৎপাদক সংস্থাকে দাম কমাতে হবে। কিন্তু এসব জেনেও তা করতে দেননি সন্দীপ ঘোষ বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ‘সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হবে’, সাগর দত্ত হাসপাতালে বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন মদন
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আজও ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন। সেখানে আজ চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য দেশের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ‘ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া থেকে অনুমোদন মেলে। তারপর ক্যানসারের ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে কলেজের এথিক্স কমিটির অনুমোদন মেলে। এমনকী রোগী কল্যাণ সমিতি থেকেও অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন প্রিন্সিপ্যাল ডা.সন্দীপ ঘোষ সেই অনুমোদনে স্বাক্ষর করেননি। যা আজও সবাই জানেন। এরপরও আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রঞ্জন দাশগুপ্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য বেশ কয়েকবার অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষকে অনুরোধ করেছিলেন। প্রথম ট্রায়ালটি হলই না। উলটে এক প্রবীণ বিশেষজ্ঞকে জেলায় বদলি করা হয়েছিল।