প্রথমে মার্চ মাসে সৌরভ দাসের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। তার পর তাঁকে দু’মাসের এক্সটেনশন দেয় নবান্ন। কিন্তু এখন জুন মাস। মে মাসে পেরিয়ে যাওয়ায় সৌরভ দাসকে সেই মেয়াদও শেষ হয়। এবার সেই পদে রাজীব সিনহা কতটা দক্ষতা দেখান সেটাই দেখার বিষয়। তাহলে রাজীব সিনহার দায়িত্ব নেওয়ার পরই কি পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে?
রাজীব সিনহা (ছবি, সৌজন্য এএনআই)
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে বসার জন্য রাজীব সিনহার নামেই সিলমোহর দিল রাজভবন। এখন রাজভবন থেকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এই প্রাক্তন মুখ্যসচিবের নামে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তাছাড়া বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। গত ২৮ মে সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদটি ফাঁকা ছিল। এবার সেই পদেই বসতে চলেছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সুতরাং তার পরই বাকি নির্বাচনী কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গত ২৩ মে পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করে রাজভবনে ফাইল পাঠিয়েছিল নবান্ন। তখন থেকেই নানা টালবাহানা চলছিল। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নবান্নকে একটি নোট পাঠিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, কেন রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করা হচ্ছে?রাজীব সিনহা মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর ছিলেন ডব্লিউবিআইডিসির চেয়ারম্যান। পরে তাঁকে সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে ডব্লিউবিআইআইডিসির চেয়ারম্যান পদে। এখনও তিনি সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হলে এখনকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হবে তাঁকে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস যখন রাজ্যে মহামারির আকার নিয়েছিল তখন মুখ্যসচিব ছিলেন রাজীব সিনহা। তাঁকে কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবে তার জন্য তিনি প্রশংসিতও হয়েছিলেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের অফিসার। তবে এখন রাজভবন থেকে রাজীব সিনহার নামে সিলমোহর দিয়ে ফাইল নবান্নে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। ফলে রাজীব সিনহার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।