মহরমের আগে থেকে ঢোল বাজানো হয়। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছেন মামলাটির জরুরি শুনানি। কিন্তু বিচারপতি তা নাকচ করে দিয়েছেন। এই মামলায় কী বললেন তিনি?
কলকাতা হাইকোর্ট
মহরমে এক নাগাড়ে ঢোল বাজানোর বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী মামলাটির জরুরি শুনানি চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি তা খারিজ করে দিয়েছেন। সাধারণ প্রক্রিয়ায় তালিকায় মামলাটি এলেই তাঁর শুনানি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বার এন্ড বেঞ্চ-নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মামলাটি দায়ের করে আইনজীবী বলেন, ‘মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজন। প্রতি কিশোর ও যুবকের মহরম উপলক্ষে একনাগাড়ে ঢোল বাজাতে থাকে। দিবারাত্র তা চলতে থাকে। ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। প্রায় ১৫ দিন ধরে এই বাজনা বাজতে থাকে।’
সব শুনে বিচারপতি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। আদালত তার অনুমতি দিচ্ছে না।
এর প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ২৯ জুলাই মহরম রয়েছে, তার আগে ১০ জুলাই থেকে এই বাজনার ‘দাপট’ চলবে। বাড়বে শব্দদূষণ।
এরপর বিচারপতি বলেন, 'দেখা যাক! মামলার মাসিক তালিকায় যদি আমাদের বিষয়টি আসে তবে আমরা শুনানির জন্য বিবেচনা করব। অন্যথায় আমরা মামলাটি এগিয়ে আনতে পারব না।'
ইসলামিক নববর্ষ, আল হিজরি বা আরবি নববর্ষ নামে পরিচিত। মহরমের প্রথম দিনে পালিত হয়, কারণ এই পবিত্র মাসেই নবি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। কিন্তু মাসের দশম দিন, যা আশুরা নামে পরিচিত, সেদিন কারবালায় নবির নাতি হুসেন ইবনে আলির শাহাদাতের মৃত্যু হয়। তাঁর স্মরণে মুসলমানরা এই দিন শোকপ্রকাশ করেন। মুহরম শব্দের অর্থ ‘অনুমতি নেই’ বা ‘নিষিদ্ধ’। তাই এই দিনে মুসলমানদের যুদ্ধের মতো ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ। এই দিনটি প্রার্থনা এবং আত্মদর্শনের দিন হিসাবেও পালিত হয়।
সোমবার হাইকোর্টে অন্য একটি মামলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে কার গাফিলতিতে মোতায়েন হল না কেন্দ্রীয় বাহিনী, তা খুঁজে বার করতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। (বিস্তারিত পড়ুন।)