
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, সেটা মেনে নিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। আর তাই ৪৫ শতাংশ ভোট পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই বিজেপির ভোটের হার ৩৯ শতাংশেই আটকে আছে। এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নবান্নেই মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনা করার প্রেক্ষিতে সেই কথা বলেছেন তিনি। শুভেন্দু দাবি করেছেন যে মমতারা বরাবরই সেই কাজটাই করে আসেন মমতা। এটা একেবারেই নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু সেটা মেনে নিয়েছেন রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। তাই তো ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে যায় তৃণমূল।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৪৫.৭৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। সংখ্যার বিচারে ২৭,৫৬৪,৫৬১টি ভোট পেয়েছে মমতার দল। আর বিজেপি ৩৮.৭৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সংখ্যার নিরিখে বিচারে ২৩,৩২৭,৩৪৯টি ভোট পেয়েছে বিজেপি। আর সেই সাত শতাংশ ভোটপার্থক্যের কারণে বিজেপির থেকে ১৭টি লোকসভা আসন বেশি পেয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের ঝুলিতে গিয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ১২টি আসনে জিতেছে।
যদিও তাতে হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন শুভেন্দু। বরং শুভেন্দু দাবি করেছেন যে তাঁকে ভোটে হারাতে পারছেন না মমতা। তাই তাঁর নামে উলটো-পালটা কথা বলছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। বরং তাঁকে যত আক্রমণ শানাবেন মমতা, তত তাঁর লাভ হবে। তত বেশি ভোট বাড়বে তাঁর। তত বেশি ভোট বিজেপির ঝুলিতে পড়বে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে দুটি লোকসভা কেন্দ্র আছে - কাঁথি এবং তমলুক। কাঁথিতে ৪৭,৭৬৪ ভোটে জিতেছেন শুভেন্দুর ভাই সৌম্যেন্দু। আর তমলুক থেকে ৭৭,৭৭৩ ভোটে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
যদিও গতবারের থেকে দুটি কেন্দ্রেই জয়ের মার্জিন কমেছে। ২০১৯ সালে তমলুক থেকে ১৯০,১৬৫ ভোটে জিতেছিলেন তৎকালীন তৃণমূলের প্রার্থী দিব্যেন্দু। আর কাঁথি থেকে শুভেন্দুর বাবা তথা তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী শিশিরের জয়ের ব্যবধান ছিল ১১১,৬৬৮। সেইসময় শুভেন্দুও তৃণমূলে ছিলেন। কিন্তু এবার বিজেপিতে এসে আগেরবারের মতো ব্যবধানে নিজের দলের প্রার্থীদের জেতাতে পারেননি শুভেন্দু।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports