সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ কোম্পানি CISF হাসপাতালে পৌঁছয়। হাসপাতালের মোট ২৬টি জায়গায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন - 'আরজি করের ইন্টার্নদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের কাছে'
পড়তে থাকুন - ‘উনি যত তাড়াতাড়ি পারেন গদি ছাড়ুন, বাংলার মানুষকে রেহাই দিন’
গত ১৫ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি কর মেডিক্যালে ভাঙচুরের পর সেখানে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা মোতায়েনের দাবি ওঠে। দাবি জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে CRPF অথবা CISF নিরাপত্তা মোতায়েনের নির্দেশ দেয় কলকাতা তাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ পেয়েই বুধবার হাসপাতালের নিরাপত্তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে CISF. হাসপাতালে পৌঁছে যান বাহিনীর DIGসহ অন্য আধিকারিকরা। এর পর লালবাজারে গিয়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছয় ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছয়। হাসপাতালের ২টি গেট প্রশাসনিক ভবন থেকে হাসপাতালের গুরুত্বপূূর্ণ ২৬টি জায়গায় তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা মোতায়েন হয়েছে পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের হস্টেলেও। CISF বাহিনীকে পরিচালনার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। হাসপাতালের পাঁচিল সংস্কারের জন্য আবেদন জানিয়েছে বাহিনীর আধিকারিকরা। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে বলে জানিয়েছেন CISF আধিকারিকরা। ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল পাহারা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন - ঘরে - বাইরে চাপের মুখে পড়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে সন্দীপ ঘোষের নিয়োগ বাতিল করল রাজ্য সরকার
ওদিকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না হওয়ায় এদিন প্রসঙ্গটি সুপ্রিম কোর্টে ওঠে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আদালত তাদের জন্য নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা করবে। কিন্তু চিকিৎসকরা আগে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করুন। কিন্তু কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের ওপর রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।