মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে মনোনীত করেছে। ইতিমধ্যেই তিনি প্রার্থী হিসেবে হলফনামা জমা দিয়েছেন এবং সেখানে নিজের আয়ের খতিয়ান প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সুপ্তি পাণ্ডের আয় ছিল ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৫০ টাকা। পূর্ববর্তী কয়েক বছরের আয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আয় ছিল ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৫২২ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আয় ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ৯০৪ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আয় ছিল ৮ লাখ ৬৮ হাজার ২৬০ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আয় ছিল ৮ লাখ ২৪ হাজার ২৭১ টাকা।
হলফনামায় আরও জানা গেছে, সুপ্তি পাণ্ডের হাতে নগদ রয়েছে ১০ লাখ ২২ হাজার ৫৭১ টাকা ০২ পয়সা। তাঁর সোনার গহনা রয়েছে ৬০০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭০০ টাকা এবং রূপোর গহনা রয়েছে ১০ কেজি, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০ টাকা।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুপ্তি পাণ্ডের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১.৩৮ টাকা। কাঁকুড়গাছির একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২২৩.০৫ টাকা, মানিকতলার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ১০৫.৯৬ টাকা, কাঁকুড়গাছির আরও একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৭৯ হাজার ০৭৯.১৭ টাকা, উল্টোডাঙার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৮ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ টাকা এবং বিধান সরনীতে অবস্থিত একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৪৪ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি অ্যাকাউন্টে আরও অর্থ রয়েছে। তবে তাঁর উপর ২৪ লাখ টাকার লোনও রয়েছে।
সুপ্তি পাণ্ডের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএড, যা তিনি ১৯৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রী শিক্ষায়তন কলেজ থেকে অর্জন করেন। সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর মানিকতলা কেন্দ্রটি বিধায়কশূন্য হয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে সেখানে নির্বাচন আটকে ছিল। আগামী ১০ জুলাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।