লাগাতার পুলিশি অভিযান সত্ত্বেও রমরমিয়ে চলছে ভেজাল ঘি’য়ের ব্যবসা। অভিযোগ উঠেছে, নদিয়ার ফুলিয়া, চকদহে এই সব ভেজাল ঘি তৈরি হচ্ছে। তারপরে সেই ঘি পৌঁছে যাচ্ছে নদিয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে কলকাতার বড়বাজারে। এমনকী, বিভিন্ন নামী কোম্পানিও ভেজাল ঘি কিনে ব্র্যান্ডের আড়ালে সেগুলি বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ। আর এই ভেজাল ঘিয়ের ব্যবসার পিছনে মূল কারণ হল অধিক হারে মুনাফা অর্জন। অভিযোগ উঠেছে, এই ঘিয়ের ব্যবসার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ হিংসার বিষয় 'ধামাচাপার চেষ্টা', ক্যাম্পে কী এমন হচ্ছে? উঠল গুরুতর অভিযোগ)
আরও পড়ুন: যে ঘি খাচ্ছেন সেটি খাঁটি তো? কীভাবে বুঝবেন ভেজাল কিনা? জেনে নিন এখনই
সূত্রের খবর, রাজ্যে ভেজাল ঘি তৈরির একাধিক ঠিকানা রয়েছে। তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নদিয়ার ফুলিয়া। সংবাদ মাধ্যম বর্তমানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানকার বুইচা ঘোষপাড়া, সাহেবডাঙা, বেলেমাঠ, বাগানপাড়া, বয়ড়া প্রভৃতি এলাকায় ঘি তৈরির বহু কারখানা রয়েছে। যারমধ্যে একাধিক কারখানায় গোপনে তৈরি হয় ভেজাল ঘি। আর এর জন্য ব্যবহার করা হয় ডালডা, পামতেল, ক্ষতিকর ক্রিম এবং একাধিক রাসায়নিকের মিশ্রণ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলিয়ায় তৈরি হওয়া এই ঘি, নদিয়ার পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন জেলার মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই লোকাল ভেন্ডারের মাধ্যমে ঘি বিক্রি হয়। এরপর তা সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে যায়। আবার ডিস্ট্রিবিউটর মারফত এই ভেজাল ঘি কলকাতার বড়বাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে। পুলিশ থেকে শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বিভিন্ন তদন্তে জানতে পেরেছে, টিন ভর্তি ভেজাল ঘি নদিয়া থেকে কলকাতায় পৌঁছনোর বিষয়টি জানতে পেরেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এই সমস্ত ভেজাল ঘি-এর অন্যতম ক্রেতা হল একাধিক নামী কোম্পানি। যারা ভেজাল ঘি কিনে নিজেদের ব্র্যান্ডের টিন অথবা কৌটোর আড়ালে বাজারজাত করছে।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' অবস্থান কংগ্রেসের, সাংসদ বললেন...
যদিও পুলিশ এবং ইবির দাবি, এরজন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এতো কিছুর পরেও কেন ভেজাল ঘি’এর ব্যবসা কেন বন্ধ হচ্ছে না? আধিকারিকদের একাংশের মতে, এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মদত। কারণ মোটা টাকার প্রণামী দিয়ে এই বেআইনি ব্যবসা চালিয়ে যান অনেকেই। নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস জানান, ভেজাল ঘি রুখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই প্রদীপ জ্বালানোর জন্য ঘি বানিয়ে থাকেন। কিন্তু, তার আড়ালে ভোজ্য ভেজাল ঘি তৈরির ব্যবসা চলছে।