বড়বাজারে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারকে ফের একবার তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে রাজ্য সরকার কলকাতাকে জতুগৃত বানিয়ে রেখেছে। এমনকী অগ্নিকাণ্ডের সময় মমতা ঘুমাচ্ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ঘুমাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের আগে কোনও কথা তিনি বলেননি। তাঁর সরকার কোনও ক্ষতিপূরণ, কোনও কন্ট্রোল রুম নম্বর, মৃতদের শনাক্তকরণ, আহতরা কোথায় রয়েছেন, পুরোটাই অন্ধকারে রাখা হয়। আমাদের রাজ্য সভাপতি মাননীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী, বিকেলে দিল্লি থেকে পৌঁছে এখানে আসেন।’
কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডের ইতিহাস মনে করিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এই মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে ২০১১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৮টা বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল যাতে কয়েকশ মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছেন। এই সরকার ভাতা ও তোষণের রাজনীতিতে ব্যস্ত। এর ফলে কলকাতার বাণিজ্যিক ও ঘনবসতিপূরর্ণ এলাকাগুলোকে জতুগৃহে পরিণত করেছে। ফায়ার ব্রিগেড মন্ত্রী দিঘা নিয়ে ব্যস্ত। তাঁর ফায়ার ব্রিগেড ৪৫ মিনিট পরে এসেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, জোড়াসাঁকো থানার মদতে এই হোটেলের মালিক সমস্ত অবৈধ কাজ করেন। হোটেলের লাইসেন্স নেই। অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নেই। ঢোকা বেরনোর রাস্তার ঠিক নেই। তার পরেও তিনি এখানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার কারণ, টাকার বিনিময়ে পুলিশের আশীর্বাদ আছে। আর মেয়র তো ধর্মীয় অনুষ্ঠান আর দাওয়াত – এ – ইসলামে ব্যস্ত।’
তাঁর অভিযোগ, ‘সরকার দিঘায় জলসায় ব্যস্ত। গান হচ্ছে, নাচ হচ্ছে, কোমর দুলছে, আমিষের ফোয়ারা উড়ছে, সঙ্গে লাল – নীল জলের ফোয়ারা উড়ছে।’
বলে রাখি, বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হোটেল মালিক আকাশ চাওলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।