রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘আসল অপরাধী’ কে? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর থেকে মুখে মুখে ঘুরছে এই প্রশ্ন। আসল অপরাধীকে জেরা করতে তারা কী পদক্ষেপ করেছে তা সোমবারের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে সিবিআইকে। তবে আসল অপরাধী নিয়ে এত ঢাক ঢাক গুড়গুড় করতে নারাজ বিরোধীরা। এক সুরে তাদের দাবি, সমস্ত দুর্নীতির কেন্দ্রে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জেরা করলেই বেরিয়ে আসবে সত্য।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও তো ঝেড়ে ফেলা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছে। অপা সিন্ডিকেটের মালিক হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিত তার কয়লা ভাইপো। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর তার অপারা সেই ধন রক্ষা করত’।রাজ্যসভায় সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘কে কী বললেন সেটা কোনও ব্যাপার নয়। আসল কথা তো বলবেন মমতা। যা ঘটেছে মমতার নির্দেশে মমতার প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ঘটেছে। সেই জন্যই ওরা এসব আবোল তাবোল কথা বলেন। পার্থ তো বলির পাঁঠা’।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর দাবি, ‘এই চুরি - বাটপারি - দুর্নীতি যা হচ্ছে বাংলায়। সব কিছুর মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের উচিত অবিলম্বে তাঁকে জেরা করা’।বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এজলাসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতার সময় বিচারপতি বলেন, ‘আসল অপরাধী কে তা সবাই জানে। কিন্তু আমার জীবদ্দশায় তার সাজা হবে বলে মনে হয় না।’ শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘এই দুর্নীতিতে যে ৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন তাদের জেরা করে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কারও নাম উঠে এসেছে কি? তাকে জেরা করার জন্য সিবিআই কী পদক্ষেপ করছে?’ জবাব দেওয়ার জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছে সিবিআই।