প্রত্যাশিতভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নেওয়া হয় তৃণমূলের সুপ্রিমো হিসেবে। এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূবের সর্বময় নেত্রী নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত দলের সাংসদ, বিধায়ক, পৌরসভার প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ সদস্য, দলীয় পদাধিকারী, শাখা সংগঠনের প্রধানরাএই নির্বাচনের ডেলিগেটস ছিলেন।
এদিন তৃণমূল চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিজেপিকে নিশানা সাধেন। তিনি বলেন, ‘অনেক লড়াইয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে উঠেছেন। সারা দেশ থেকে বিজেপিকে হঠাতে হবে। ৩৪ বছরের সিপিএমকে সরাতে পারলে বিজেপিকেও সরাতে পারব। গায়ের জোরে বিজেপি দেশ চালাচ্ছে। তাই গোটা দেশে তৃণমূলকে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
এদিকে এদিন রাজ্যপালকে বেনজির আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতা দাবি করেন যে বিজেপির ৭ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে আসতে চান বলে জানতে পেরেছেন তিনি। তিনি জানান, এখন তিনি রাজ্যে কর্মসংস্থান ও শিল্প গড়তে চান। পাশাপাশি দলের সবাইকে অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলে যেতে বলেন। রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন মমতা। পদ্মশ্রী নিয়েও কেন্দ্রকে তোপ দাগেন তৃণমূূল সুপ্রিমো।
মমতা আরও বলেন, ‘আগামীতে আরও জোরদার লড়াই করতে হবে। সামনের ভোটগুলো ভালো করে করতে হবে। আমি চাই উত্তরপ্রদেশ ভালো করুক। আমরা গোয়া, ত্রিপুরায় সুযোগ পেলে দেখিয়ে দেব কত ভালো করে কাজ করতে পারি। উত্তরপ্রদেশে এখন আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। আমরা অখিলেশকে সমর্থন জানাব। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে লড়ব। ওখানকার ইউনিট কাজ করছে। গোয়াতেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ত্রিপুরাতেও কয়েক মাসে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছি। দেশের সুশীল সমাজকে সংঘবদ্ধ হয়ে এগোতে হবে। আস্তে আস্তে হবে। একদিন সব হয় না। আর ২০২৪ সালে বাংলায় ৪২-এ ৪২করতে হবে। আগে ঘরকে শক্ত করতে হবে। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম।’