মা উড়ালপুলে পথ দুর্ঘটনা এবং বাতিস্তম্ভে ধাক্কা মারার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এসব প্রায়ই ঘটে থাকে। মা উড়ালপুলে বেশ কয়েকটি বড় বড় পথ দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তাতে প্রাণহানিও হয়েছে। তারপরও মা উড়ালপুলে পথ দুর্ঘটনা রোখা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশ অনেকগুলি পদক্ষেপ করলেও, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা যন্ত্র বসালেও মা উড়ালপুলে পথ দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। কিন্তু এই পথ দুর্ঘটনার জেরে লাগাতার কংক্রিটের কাঠামো–সহ ল্যাম্পপোস্ট ভেঙে পড়ে একের পর এক। আর এই ঘটনা ঘটেই চলেছে। মা উড়ালপুলের চিংড়িঘাটা থেকে পার্কসার্কাস যাওয়ার পথে গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভ—একাধিক নজির রয়েছে। এবার বিষয়টি নিয়ে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে কেএমডিএ।
এদিকে এই একের পর এক বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ায় আলোর অভাব দেখা দিতে শুরু করে এবং তা নিয়ে অভিযোগ পর্যন্ত জমা পড়েছে। সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে সত্যতা বুঝতে পারেন কেএমডিএ’র কর্তারা। ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভের সংখ্যাটা কত? এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। সে হিসেব কেএমডিএ’র কাছে নেই বলেই সূত্রের খবর। আর তাই এবার থেকে হিসেব রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেএমডিএ’র কর্তারা। তার জন্য একটি পথ বের করেছেন কর্তারা। এবার থেকে প্রত্যেকটি বাতিস্তম্ভে নম্বর সেঁটে দেওয়া হবে। তাতে সংখ্যাটা বোঝা সহজ হবে।
আরও পড়ুন: শহরের কাছে সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল না বাম–বিজেপি, জয়ী তৃণমূল
অন্যদিকে কেএমডিএ সূত্রে খবর, মা উড়ালপুলের সবকটি বাতিস্তম্ভেই এই নম্বর সেঁটে দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি ল্যাম্পপোস্টের গায়ে তা দেখা যাবে। বড় করে ওই সংখ্যা লেখা থাকবে। তার জেরে দুটি বিষয় একসঙ্গে জানা যাবে। এক, মা উড়ালপুলে কতগুলি বাতিস্তম্ভ আছে। দুই, পথ দুর্ঘটনায় কোনওটি ভেঙে পড়লে সেটির চিহ্নিতকরণ। সুতরাং হিসেব রাখাও অত্যন্ত সহজ হয়ে পড়বে। এমনকী বাকিস্তম্ভ সংক্রান্ত লোকেশনের তথ্য সহজে মিলে যাবে। তাহলে তা সারাই করে আবার লাগিয়ে দেওয়া যাবে। এবার এই কাজ করার জন্য টেন্ডার ডাকল কেএমডিএ।
এছাড়া মা উড়ালপুলে যে বাতিস্তম্ভগুলি আছে সেগুলি বেশ সৌখিনও। ফলে জোরে ধাক্কা লাগলে তা ভেঙে পড়ে। এমনকী ঝড়বৃষ্টির গতি যদি প্রবল হয় তাহলেও ভেঙে পড়ে এই বাতিস্তম্ভ। তবে এই বাতিস্তম্ভের গায়ে নম্বর সেঁটে দিলে একটি হিসেব পাওয়া সহজ হবে। বাতিস্তম্ভের নীচে থাকা কংক্রিটের কাঠামোর উপর নম্বর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই বাতিস্তম্ভগুলি বেশিরভাগ ভেঙেছে পথ দুর্ঘটনার জেরেই। এবার থেকে পুলিশও সহজেই বুঝতে পারবে কোন বাতিস্তম্ভ ভাঙল বা কত নম্বরের সামনে দুর্ঘটনা ঘটল।