মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার অবশেষে ফর্মে ফিরলেন। রবিবার (২০ এপ্রিল) চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চেনা ছন্দে পাওয়া গেল রোহিতকে। এদিন তিনি দুর্দান্ত অর্ধশতরান করে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। এই ম্যাচে রোহিত সেরা প্লেয়ারের পুরস্কারও পেয়েছেন। ৩৩৯ দিন পর হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রোহিত কিন্তু উচ্ছ্বসিত।
এদিন ৩৩ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন রোহিত। ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৬ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক। রোহিতের ইনিংসে ছিল ৬টি ছক্কা, ৪টি চার। এই মরশুমে এটাই রোহিতের প্রথম অর্ধশতরান। ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালের পর প্রথম বারের মতো সফল ভাবে রান তাড়া করে অপরাজিত রয়েছেন রোহিত।
নিজের ফর্ম সম্পর্কে আসল সত্যিটা জানালেন রোহিত
এই ম্যাচের আগে এবারের মরশুমে রোহিতের ব্যাটে রানের খরা চলছিল। এই প্রসঙ্গে রোহিত ম্যাচের পর বলেন, ‘আমার জন্য জিনিসগুলি সহজ রাখা এবং মানসিকতা পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা কী ভাবে খেলতে চাই এবং কী ভাবে আমাদের ইনিংস পরিকল্পনা করতে চাই, তা নির্ধারণ করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার জন্য ফিট থাকা এবং হাত খুলে খেলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যখন বল আমার এলাকায় থাকবে, আমি সেটা মারব।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘নিজেকে অবিশ্বাস করা খুব সহজ। আর সেটা হলেই বিভিন্ন রকমের জিনিস করার চেষ্টা শুরু হয়ে যায়। নিজের উপর বিশ্বাস হারালে চাপ বাড়ে। যখন মনে ভিতর স্পষ্টতা থাকে, তখন এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। অনেক খেলছি, তাই জানি, নিজেকে সন্দেহ করলে, নিজের উপর চাপ সৃষ্টি করা হবে। তুমি কীভাবে খেলতে চাও, তার ভারসাম্য রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমি বল মারতে চেয়েছিলাম, এবং বলগুলো ঠিক জায়গায় পেয়েওছিলাম। যদিও এটা ধারাবাহিক ভাবে ঘটছে না। কিন্তু আমি নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাতে চাই না।’
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রোহিত
রোহিত এই ম্যাচটি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলেছেন। রোহিত ছোটবেলা থেকেই এখানে ক্রিকেট খেলছেন। তাঁর কৃতিত্বের সম্মানে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাঁর নামে একটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করেছে। রোহিতকে যখন এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, ‘আমার নামে যে স্ট্যান্ড হচ্ছে, সেটা অনেক দূরে। ওখানে ছক্কা মারা কঠিন। আমি এখানে খেলা উপভোগ করি। ছোটবেলা থেকে এই মাঠে খেলা দেখতে এসেছি। একটা সময় মাঠে ঢোকার অনুমতি ছিল না। এই মাঠে খেলে বড় হয়েছি। সেখানে আমার নামে স্ট্যান্ড হবে। এটা বিরাট সম্মানের। তবে অনুভূতিটা কেমন হবে, সেটা এখন বুঝতে পারছি না। আমার নামে স্ট্যান্ডটা দেখতে পেলে বুঝতে পারব।’