ট্রান্স বা রূপান্তরিত মহিলারা আইনত মহিলা নন।গত বুধবার এমনই যুগান্তকারী রায় দিয়েছে ব্রিটেনের সু্প্রিম কোর্ট। আর তারপর থেকে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। সেই অসন্তোষের জেরে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডন এবং এডিনবার্গের রাজপথে নামলেন হাজার হাজার মানুষ।পার্লামেন্ট স্কোয়্যারের কাছে জমায়েত হয়েছিলেন তারা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন রূপান্তরকামী।
আরও পড়ুন-Donald Trump: ফের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল US, পথে হাজার হাজার মানুষ
জানা গেছে, শুধু লন্ডন নয় স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের হাজার হাজার রূপান্তরকামী তাঁদের অধিকারের সমর্থনকারী মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। শনিবার লন্ডনের জমায়েতকে তাঁরা ‘জরুরিকালীন বিক্ষোভ প্রদর্শন’ বলে উল্লেখ করেছেন। অনেকের হাতে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত করার দাবিতে এবং তাঁদের স্বাধীনতার দাবিতে লেখা প্ল্যাকার্ড এবং রামধনু রঙের পতাকা দেখা গিয়েছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়েছে পার্লামেন্ট স্কোয়ার।লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভস্থলে সাতটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, যার মধ্যে পার্লামেন্ট স্কোয়ারে ভোটাধিকারী মিলিসেন্ট ফসেটের একটি মূর্তিও রয়েছে।
সমতা আইনের আওতায় নারীর সংজ্ঞায়ন প্রশ্নে স্কটল্যান্ড সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’ নামের নারী অধিকারবিষয়ক একটি সংগঠন। তাদের যুক্তি ছিল, যাঁরা জন্মগতভাবে মহিলা, তাঁদের ক্ষেত্রেই কেবল লিঙ্গভিত্তিক সুরক্ষাগুলি প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এরপর বুধবার ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, ট্রান্স বা রূপান্তরিত মহিলারা আইনত মহিলা নন। ডেপুটি প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক হজ বলেন, ‘এই আদালতের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল, ২০১০ সালের সমতা আইনে ‘নারী’ এবং ‘লিঙ্গ’ শব্দ দুটি জৈবিক নারী এবং জৈবিক লিঙ্গকে বোঝায়। কিন্তু আমাদের পরামর্শ এই রায়কে সমাজের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অন্য এক বা একাধিক গোষ্ঠীর বিজয় হিসেবে দেখবেন না। জৈবিক লিঙ্গের উল্লেখ করে সমতা আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য অসুবিধার কারণ হবে না।’
আরও পড়ুন-Donald Trump: ফের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল US, পথে হাজার হাজার মানুষ
এর আগে লিঙ্গ স্বীকৃতির শংসাপত্রধারী ট্রান্স মহিলারা আইনত নারী বলে নির্দেশিকা জারি করেছিল স্কটিশ সরকার। এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’। স্কটিশ আদালতে হেরে যাওয়ার পর গত নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’।