মুল্লানরের মহারাজা যাদবীন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫-এর ৩৭ নম্বর ম্যাচে পঞ্জাব কিংসকে সাত উইকেটে হারায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই ম্যাচে বিরাট কোহলিকে নিজের ছন্দে দেখা গিয়েছে। ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাত বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি। জিতেশ শর্মা মূলত ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন বেঙ্গালুরু দলের। আর এই জয়ের পর শ্রেয়স আইয়ারের দিকে ফিরে কোহলি এক অদ্ভূত ভঙ্গিতে উত্তেজনা প্রকাশ করেন। সেটাতে সম্ভবত ক্ষুব্ধই হয়েছেন পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক।
কোহলির বন্য উল্লাস
কয়েক দিন আগেই ১৮ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ১৪ ওভারের ম্যাচে আরসিবি-কে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল পিবিকেএস। সেই ম্যাচে আর্শদীপ সিংয়ের বলে মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন কোহলি। আর সেই ম্যাচ হেরে, হারের হ্যাটট্রিক করেছিল আরসিবি। রবিবার পঞ্জাবের ঘরের মাঠে অবশ্য কোহলি নিজের ছন্দে ৫৪ বলে অপরাজিত ৭৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি চার এবং একটি ছক্কা।
এদিনের ম্যাচের পর উল্লাসে ভাসতে দেখা যায় কোহলিকে। তিনি শ্রেয়সের দিকে ফিরে বন্য উল্লাস করেন। সেটা দেখে শ্রেয়স এগিয়ে যান। তিনি সম্ভবত কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলেন। কোহলির সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়। কোহলি খোশমেজাজেই ছিলেন। যখন তিনি প্রথাগত করমর্দনের জন্য এগিয়ে যান, তখন শ্রেয়স আইয়ারের দিক থেকে উষ্ণতার অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। কোহলি অবশ্য হেসে বিষয়টি হালকা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক পাথরের মতো মুখ গোমড়া করে রেখেছিলেন। আপাতদৃষ্টিতে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, তিনি কোহলির উদযাপনে হয়তো খুশি হতে পারেননি।
ম্যাচ জিতে কী বললেন কোহলি?
এদিনের জয়ের হাত ধরে আরসিবি আটটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিতল। তাদের এখন ১০ পয়েন্ট। এবং +০.৪৭২ নেট রান রেট নিয়ে টেবলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন কোহলিরা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা কোহলি বলেন, কী ভাবে তিনি দেবদত্ত পাডিক্কাল এবং অধিনায়ক রজত পাতিদারের সঙ্গে মিলে আরসিবির ব্যাটিং পরিকল্পনা করেছিলেন।
বিরাটের দাবি, ‘আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। যখন আপনি আট পয়েন্ট থেকে দশে যান, তখন এটি একটি বিরাট পার্থক্য তৈরি করে। আমরা নিজেদেরকে সুন্দর ভাবে সেট আপ করেছি... দেব আমার চারপাশে শট খেলতে পারে, হয়তো রজতও আমার চারপাশে খেলতে পারে। একই ভাবে এগিয়ে যাওয়ার একটা প্রলোভন সবসময় থাকে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘প্রথম দু'টি ম্যাচ থেকে আমরা শিক্ষা পেয়েছি, এবং শেষ খেলাটি ছিল সংক্ষিপ্ত। আমরা জানি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান তাড়া করতে গেলে একটি পার্টনারশিপই যথেষ্ট। প্রয়োজনে আমি গতি বাড়াতে পারি।’ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পরবর্তী ম্যাচে ২৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে।