লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। আগামী সপ্তাহে তা ঘোষণা করা হতে পারে। এই আবহে বাংলায় পা রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায় পৌঁছে গিয়েছে ১ কোম্পানি আধাসেনা। শনিবার বাংলার বিভিন্ন জেলা—জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, শিলিগুড়িতে পৌঁছন জওয়ানরা। আবার দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনায় পৌঁছে গিয়েছেন জওয়ানরা। আজ, রবিবার আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছল কলকাতায়। কলকাতাতে শুরু হয়েছে রুটমার্চ। বাংলায় আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আজ বিকেলেই বৈঠকে বসছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা।
এদিকে শহরে ৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলেছে রবিবার। সার্ভে পার্ক, কসবা এলাকায় বিএসএফের জওয়ানদের রুটমার্চ করতে দেখা যায়। কসবার কমিউনিটি হলে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। আজ থেকেই কলকাতার নানা জায়গায় রুট মার্চ শুরু করেছে তারা। ইতিমধ্যেই ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে রাজ্যে। আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে ৭ মার্চ। কসবার কমিউনিটি হল থেকে প্রত্যেকটি থানা নির্দিষ্টভাবে এসে তাঁদের নিয়ে যাবে। প্রত্যেকটি এলাকায় গিয়ে তাঁরা রুট মার্চ করবেন।
আরও পড়ুন: বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি–তৃণমূল আঁতাত! বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অনুপম
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, আজ থেকেই কলকাতায় রুটমার্চ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই জেলাতেও যে ছবি শনিবার ধরা পড়েছিল, আজ রবিবার থেকে সেটা কলকাতাতেও দেখা যাচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের মনোবল বাড়াতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঠেকাতে কাজ করবেন তাঁরা। পাত্রসায়র, পূর্ব যাদবপুর এলাকায় ইতিমধ্যেই টহল দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। রবিবার সকাল থেকেই বনগাঁয় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ শুরু করেছে। উত্তর দিনাজপুর থেকে আপাতত দুই কোম্পানি এসেছে। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে দেখা গেল বনগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শিবু ঘোষ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা–সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।