লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরে রাজ্যের অভিষন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, সিবিআই আধিকারিকদের আটকাতেই কি এই কৌশল নিয়েছে রাজ্য? আদালতে ঠিক একই অভিযোগ করেছে সিবিআইও।এদিনের শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, সিবিআই আধিকারিকদের রুখতেই কি লালন শেখের মৃত্যুতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে? শুধু লালন শেখ নয়, মনে রাখতে হবে বগটুইয়ে বহু মানুষ তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। সঙ্গে তিনি লালনের দেহের ময়নাতদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি আদালতে জমা দিতে বলেন বিচারপতি।বগটুই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখকে গত ৪ ডিসেম্বর ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পর সিবিআই হেফাজতে ছিল সে। গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় লালনকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেই রাতেই লালনের স্ত্রী ৬ জন সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার মধ্যে রয়েছেন গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যও। যিনি কস্মিনকালে কোনও দিন রামপুরহাট যাননি।রাজ্য পুলিশের FIR-কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। প্রশ্ন তোলে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। তাই তাদের আধিকারিকদের হেনস্থা করতে তাদের বিরুদ্ধে বিনা কারণে FIR দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। এই মামলায় প্রথম দিনই আদালত সিবিআই আধিকারিকদের আইনি রক্ষাকবচ দেয়। এদিন সিবিআইয়ের আশঙ্কা গুঞ্জরিত হল বিচারপতির কণ্ঠেও।