নীল এবং সবুজ রঙের দু’টি বালতি। পচনশীল আবর্জনার জন্য সবুজ বালতি এবং অপচনশীল, পুনর্নবীকরণযোগ্য আবর্জনা নীল বালতিতে সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি, বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও রাস্তার ধারে বসানো হবে এই দুই রঙের দু’টি করে ডাস্টবিন। এর জন্য বিভিন্ন মাপের প্রায় ৩৮ লক্ষ বালতি ও বিন কিনেছে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
চার মাস পার হয়ে গিয়েছে। জঞ্জাল পৃথকীকরণ ব্যবস্থা শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপরও যদি রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ময়লা–আবর্জনা ফেলা হয় তাহলে দিতে হবে বড় অঙ্কের জরিমানা। এবার এমনই বার্তা দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাড়িতে জঞ্জাল রাখতে শহরজুড়ে দু’ধরনের বালতি বিলি করা হয়েছে। তার পরও বহু নাগরিকই এখনও উদাসীন। তাঁরা নিয়ম মানছেন না। পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই প্রসঙ্গ তোলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানান, শুধু জরিমানা করেই ক্ষান্ত থাকা হবে না। আলাদা করে না দিলে, সেই জঞ্জাল সংগ্রহই করবেন না পুরকর্মীরা।
বুধবার একাধিক ওয়ার্ডে জঞ্জাল পৃথকীকরণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়। তখনই মেয়র নির্দেশ দেন, বাড়ির আবর্জনা রাস্তায় ফেললে পুরকর্মীরা তা সাফাই করবেন না। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা জঞ্জাল পৃথকীকরণ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেছি। যাতে শহরের রূপ বদলায়। যদি এই প্রকল্প সফল হয় তাহলে ধাপায় স্তূপাকৃত আবর্জনা কমে যাবে। কিন্তু কিছু নাগরিক এখনও বাড়ি থেকে ছুড়ে রাস্তায় আবর্জনা ফেলছেন। এমনকী সাফাইয়ের পর এই কাজ হচ্ছে বলে আমরা তা সংগ্রহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বড় অঙ্কের জরিমানা করব।’
এদিন মেয়র বেহালা এবং ভবানীপুরের একাধিক রাস্তা পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেবব্রত মজুমদার এবং রূপক গঙ্গোপাধ্যায়। কমপ্যাক্টর স্টেশনেও পরিদর্শন করেন ফিরহাদ হাকিম। জঞ্জাল পৃথকীকরণ ব্যবস্থা গোটা শহরে চালু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের সময় পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রায় তিন মাসের মাথায় সেই বালতি বিলির কাজ গতি হারিয়েছে। বাসিন্দাদের থেকে প্রতিক্রিয়াও নেওয়া হয়।