আজ রাতেও কি কারেন্ট চলে যাবে? শুতে যাওয়ার আগে যেন সেই আতঙ্কেই ভুগছে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার অসংখ্য মানুষ। কারণ শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় রাত বাড়লেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এবার গরম বাড়তেই সেই সমস্যা শুরু হয়েছে। রাতে এক থেকে দু'ঘণ্টা কারেন্ট থাকছে না। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের দাবি, সিইএসসিতে ফোন করলেই গতে বাঁধা উত্তর দেওয়া হচ্ছে। আদতে কোনও লাভ হচ্ছে না।
গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ অস্বস্তিকর গরম পড়েছে। বৃষ্টি কার্যত হচ্ছে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রাতেও স্বস্তি মিলছে না। তারইমধ্যে রাতে কারেন্ট চলে যাওয়ায় জীবন অসহনীয় হয়ে যাচ্ছে। দিনভর খাটনির পর ঘুম উড়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কারেন্ট থাকলেও অনেক সময় ভোল্টেজ থাকছে যে উপরের তাকিয়ে মনে হচ্ছে, পাখা ঘুরছেই না।
সেই বিষয়টি নিয়ে রোজই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নেটিজেনরা। তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘মাসে কমপক্ষে ৩০ ঘণ্টা কারেন্ট থাকছে না। মাসে ভোল্টেজ কম থাকছে কমপক্ষে ২১০ ঘণ্টা। অথচ শেষ তিন মাস স্বাভাবিকের থেকে তিনগুণ বেশি বিল আসছে।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, 'জঘন্য অবস্থা। প্রতিদিন অন্তত দু'বার কারেন্ট চলে যাচ্ছে। প্রতিবার আমরা ফোন করছি, আর সেই একই উত্তর পাচ্ছি। বলা হচ্ছে যে ট্রান্সফর্মারের সমস্যা হচ্ছে। এটা কি মজা হচ্ছে?'
আরও পড়ুন: Load shedding: ১০টা এসি কিনুন, ৫টা ওয়াশিং মেশিন, কোনও সমস্যা নেই, শুধু… পরামর্শ বিদ্যুৎমন্ত্রীর
এক নেটিজেন আবার সিইএসসিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, 'আপনাদের পরিষেবায় আমরা আপ্লুত। এই যে প্রতি রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরেই দেখি কারেন্ট অফ হয়ে গিয়েছে, তা দেখে কী যে আনন্দ হয়, তা বলে বোঝাতে পারব না। আপনারা এই দায়িত্ব না নিলে গ্রীষ্মকালে গরমের অনুভূতিই পাওয়া যেত না। রাতে ঘুমিয়ে পড়তে পারতাম। আপনারা যে এত সুন্দর সার্ভিস দেন, সেটা বুঝতে পারি বিল পেমেন্টের দিনে। আরও চার্জ বাড়িয়ে দিন আপনাদের গ্রীষ্ম ঋতু ফিল করতে সাহায্য করছেন তার জন্য।'
আরও পড়ুন: Heavy rainfall forecast in WB: সোমবার পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে, কবে থেকে দক্ষিণে তাপমাত্রা কমবে?
যদিও রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দাবি, মানুষের দোষেই এত কারেন্ট যাচ্ছে। কারণ বিদ্যুৎ সংস্থাকে না জানিয়েই বাড়তি এসি ব্যবহার করা হচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, কেউ একটি এসি নিয়েছেন বলে দেখিয়েছেন। কিন্তু তিনি বাড়তি এসি ব্যবহার করছেন। বিদ্যুৎ সংস্থার কাছে সেই তথ্য না থাকায় বেশি ক্ষমতাশালী ট্রান্সফর্মার বসাচ্ছে না। এবার ট্রান্সফর্মারের উপর বেশি চাপ পড়লেই তা উড়ে যাচ্ছে।