আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যে জুনিয়র চিকিৎসকরা ৩২দিন ধরে আন্দোলনে, যে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন মমতা। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা পরিস্কার জানিয়ে দিলেন আমরা এই মেলে সাড়া দিতে পারছি না। অবস্থানে অনড় তাঁরা।
তবে সেই মেলে কোথাও লেখা ছিল না মুখ্য়মন্ত্রী কথা বলতে চান।৬ লাইনের মেল। লেখা ছিল সিনিয়র গভর্নমেন্ট প্রতিনিধিরা কথা বলতে চান।
এদিকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী নবান্নে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছিলেই। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। সাড়ে সাতটায় তিনি বেরিয়ে যান নবান্ন থেকে।
জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, 'এই মেলকে সদর্থক হিসাবে দেখছি না। আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাই। হেল্থ সচিবের কাছ থেকে ইমেল আসা কষ্টকর। নট মোর দ্যান ১০জন, এটাকে অসম্মানজনক বলে মনে করছি। যেভাবে মেল এসেছে এরপর দাঁড়িয়ে এই মেলে সাড়া দেওয়ার জায়গায় আমরা নেই। এরপরেও রাজ্য সরকার যদি ৫টা দাবির ব্যাপারে সদর্থক বার্তা পাই সেক্ষেত্রে কোথাও যাব কি না সেটা ভেবে দেখতে পারি। নবান্ন থেকে মেল আমরা পাইনি। স্বাস্থ্যসচিবের মেল থেকে একটা মেল পেয়েছি। অনেক নমনীয়ভাবে বলতে পারতেন। আমি জানি না নবান্নতে বসে কী হচ্ছে। আলোচনার পথ খোলা। আন্দোলনের ৩২দিন পরে যেভাবে অপমানজনক ভাবে ডাকা হল এই মেলে সাড়া দিতে পারছি না। আমরা যেভাবে অবস্থান বিক্ষোভে বসে রয়েছি সেভাবেই থাকব। আমরা চাই ১০-১২জনের টিম যেতে পারে না।