অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায় নয়া মোড় নিল। অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধুকে এবার গ্রেফতার করল পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় সে জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আগেই বান্ধবী ও তাঁর মা–ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই মেলে জড়িত আরও অনেকে। তখন বাবা এবং আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওড়িশার জাজপুর থেকে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে হরিদেবপুরে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই যুবক অয়নকে খুন করতে বান্ধবীর ভাইকে সাহায্য করেছিল। আর খুন করার পরে ওড়িশার জাজপুরে পালিয়ে যায়। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধু আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে দু’হাজার টাকার বিনিময়ে কুঁদঘাট থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে। সেই গাড়ি করেই দেহ লোপাট করতে মগরাহাটে নিয়ে যাওয়া হয়। অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের বন্ধুকে গ্রেফতারের পর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত। আর ওই গাড়ির চালককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গোটা ঘটনাটি ঠিক কী? হরিদেবপুরের দীনেশ পল্লির বাসিন্দা নিহত অয়ন পেশায় অ্যাপ–বাইক চালক। দশমীর রাতে বান্ধবী প্রীতি জানার বাড়িতে গিয়েছিলেন অয়ন। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখান থেকেই বন্ধু রাজুকে ফোনও করেন। পরে আরও দু’বার বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। রাত ৩টে বেজে ৩ মিনিট থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি অয়নকে। সারারাত বাড়ি না ফেরায় একাদশীর দিন সকালে হরিদেবপুর থানায় জেনারেল ডায়েরি করেন অয়নের বাবা অমর মণ্ডল। তারপর এই মৃতদেহ প্রকাশ্যে আসে। শুক্রবার রাতেই নিহত অয়নের বান্ধবী প্রীতি জানা, তাঁর মা রিমা জানা এবং নাবালক ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর শনিবার সকালে বান্ধবীর বাবা সুবীর, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু এবং পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়। শনিবারই তাঁদের আদালতে তোলা হবে।