শিলিগুড়িতে জি–২০ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু গত রবিবার হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলি জেলার রিষড়া এলাকা। তারপর পুলিশ–প্রশাসনের তৎপরতায় রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সোমবার বেশি রাতে আবার তেতে ওঠে রিষড়া। নতুন করে অশান্তিতে রমক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আর তাতেই উদ্বিগ হয়ে ওঠেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, পাহাড় সফর কাটছাঁট করে আজ, মঙ্গলবারই তিনি কলকাতায় ফিরতে পারেন।
এদিকে সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন সিভি আনন্দ বোস। আর জি–২০ বৈঠক নিয়ে সফর বাতিল করে মঙ্গলবারই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরছেন বড়লাট। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বরদাস্ত করা হবে না বলে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের কড়া বার্তা, হিংসায় যুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধকে রেয়াত করা হবে না বলেও বার্তা দেন রাজ্যপাল। রিষড়ায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। তার মধ্যে সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেখানে গেলে পুলিশ বাধা দেন। রিষড়ায় নতুন করে এই অশান্তির খবর শুনেই পাহাড় সফর কাটছাঁট করে ফিরছেন তিনি।
রাতে ঠিক কী ঘটল রিষড়ায়? অন্যদিকে সোমবার রাত থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় রিষড়ার চার নম্বর রেল গেট এলাকায়। ট্রেন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র্যাফও। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর–ইট ছোড়া হলে এক পুলিশকর্মী আহত হয়। একটি পুলিশের গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে রাত ১০টার পর থেকে হাওড়া–বর্ধমান শাখায় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিনঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করে।