বর্ষা পড়তেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করেছে। তার মধ্যে কলকাতাও রয়েছে। তবে চলতি মরসুমে এই প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা গেল।
কলকাতায় প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
চলতি মরসুমে প্রথম ডেঙ্গুতে মৃত্যু কলকাতায়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের এক নাবালিকার। কয়েকদিন ধরে সে শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শনিবার তার মৃত্যু হয়।
পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা ওই নাবালিকা পল্লবী দে ভর্তি ছিল ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার জ্বর অন্যান্য কিছু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় পিকুতে স্থানান্তরিত করা হয়।
শুক্রবার আরও খারাপ হয় অবস্থা। একাধিক অঙ্গ কাজ করছিল না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। প্লেটলেট ১০হাজারের নীচে নেমে যায়। শনিবার হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টাতেও তাকে বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সিভিয়ার ডেঙ্গি’ ও ‘মাল্ডি অর্গান ডিসফাংকশন’।
তবে কলকাতা সহ রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত ঘটনায় এই প্রথম নয়। গত সপ্তাহেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মিলেছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় বেশ কিছু ব্যবস্থাও নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসায় প্লেটলেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই প্লেটলেটের চাহিদা বজায় রাখার জন্য গাইডলাইন জারি করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী প্লেটলেট কাউন্ট যদি ১০ হাজারের নিচে যায় তবেই তাকে প্লেটলেট দিতে হবে। প্লেটলেট কাউন্ট যদি ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে থাকে, রোগীর যদি রক্তপাত হয় তবেই রোগীকে প্লেটলেট দেওয়া যাবে। ডেঙ্গু আক্রান্তের যদি প্লেটলেটের প্রয়োজন হয় তবে তা কোনও গ্রুপের প্লেটলেট তা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।