নিকোপার্কে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উল্টোডাঙার যুবক রাহুল দাসের। ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে। সেই ঘটনায় এবার ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন রাহুলের বাবা সত্যজিৎ দাস। বিধাননগর (দক্ষিণ) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাড়ির সামনেই পড়ে রইল যুবকের মৃতদেহ, বসিরহাটের ঘটনায় হতবাক পরিবার
পরিবারের দাবি, বুধবার সকালে সম্পূর্ণ সুস্থ শরীরেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাহুল। কলেজের ছয় বন্ধুর সঙ্গে তাঁর নিকোপার্কে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ রাহুলের মায়ের ফোনে খবর আসে, রাহুল অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছে রাহুলের বাবা-মা দেখেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। রাহুলের বাবার অভিযোগ, নিকোপার্কে কর্তৃপক্ষ সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়নি। ছেলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও দাবি করেছেন রাহুলের বাবা। তাঁর বক্তব্য, ছেলের পায়ের বুড়ো আঙুলে গভীর ক্ষত ছিল, বাঁ হাতে চোটের চিহ্ন ছিল, আর সারা শরীরটাই নীল হয়ে গিয়েছিল। এত বড় পার্কে কেন অক্সিজেন বা জরুরি চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না? তা জানতে চান তিনি।
নিকোপার্কে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ‘নায়গ্রা ফল’ নামের একটি জলের খেলার জায়গা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় রাহুলকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পার্ক চত্বরেই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পার্কের অ্যাম্বুল্যান্সেই হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। তবে নিহতের পরিবার তা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্তে প্রকৃত সত্য সামনে না আসছে, ততক্ষণ ওয়াটার পার্ক বন্ধ রাখা হোক এবং পার্কের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশ। কীভাবে রাহুলের মৃত্যু হল, তা জানতে এখন পুলিশের নজর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পার্কের সিসিটিভি ফুটেজের উপর। তবে রাহুলের পরিবার এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে রাজি নয়। তাঁদের প্রশ্ন, সুস্থ ছেলেটা মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন কী ঘটল, যাতে প্রাণ হারাতে হল? তদন্তের অপেক্ষায় দিন গুনছে শোকস্তব্ধ পরিবার।