পাবলিক ট্রান্সপোর্টের হাত ধরে সল্টলেকের যোগাযোগ নিয়ে বহু দিন ধরেই বাসিন্দাদের নানান অভিযোগ রয়েছে। এই ভোগান্তি নিয়ে নানান অনুযোগ, অভিযোগের মাঝে এবার এল সুখবর। সল্টলেকে এবার ইন্টারসিটি বাস পরিষেবা চালুর পথে রাজ্য। শুধু যে যানবাহনের সংখ্যা সল্টলেকে বাড়ানোটাই উদ্দেশ্য এমন নয়, সঙ্গে উপনগরীকে দূষণ মুক্ত রাখারও উদ্দেশ্য রয়েছে, বলে জানিয়েছে রাজ্য।
পরিবহন দফতর সূত্রের খবর দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণকে লক্ষ্য হিসাবে রেখেই এমন উদ্যোগ। এদিকে, সল্টলেকের যান চলাচল ব্য়বস্থা নিয়ে স্থানীয়দের নানান অনুযোগ রয়েছে। যে সমস্ত বাস সল্টলেকে যাতায়াত করে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই করুণাময়ী বা সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। বাকি বহু রুটে বাস চলাচল করলেও সেখানে বাসের সংখ্যা কম। যেমন বিদ্যাসাগর মোড় থেকে লাবনী, ফাল্গুনি, এফডি ব্লক, কেবিকেসি আবাসনের মধ্যেও চলে বাস। তবে তার সংখ্যা এক কিম্বা দুটির বেশি নয়। এই প্রেক্ষাপটে, রাজ্যে নতুন পদক্ষেপের জেরে স্থানীয়দের কাছে যান চলাচল নিয়ে বেশ কিছুটা স্বস্তির বার্তা পৌঁছতে পারে। এদিকে, শুধু যে যান চলাচল নিয়ে ভাবনা, তা নয়। সঙ্গে দূষণও চিন্তার কারণ বাড়িয়েছে সল্টলেকের বাসিন্দাদের জন্য। এই পরিস্থিতিতে কেন সল্টলেকে দূষণ বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জবাব পেতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটিও তৈরি করেছিল বিধাননগর পুরনিগম।
( Chaos in SP Rally: অখিলেশের সভায় ছোড়াছুড়ি হল চেয়ার-জুতো, মাইকের গোছা টেনে নামানোর চেষ্টা, দলীয় কর্মীদের ঘিরে ধুন্ধুমার)
বিধাননগর পুরোনিগমের তৈরি বিশেষজ্ঞদের কমিটির যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সল্টলেকে গত ২ বছরে ১৭ শতাংশ গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। আর বাতাসে এই বিপুল পরিমাণ ধোঁয়া বেড়ে যাওয়ার কারণে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধিকেই দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কমিটি সুপারিশ করেছিল দূষণ মোকাবিলায় ব্যাটারিচালিত বা সিএনজি চালিত গাড়ির জন্য। এদিকে, এরপরই পরিবহন দফতর নতুন ব্যাটারি চালিত বাস আনার ঘোষণা করল,সল্টলেকবাসীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই ব্যাটারি চালিত বাসে আলাদা করে কী সুবিধা পেতে চলেছেন সল্টলেকবাসী? যার জবাবে জানা যাচ্ছে, গতির দিক থেকে ডিজেলচালিত বাসকে ব্যাটারিচালিত বাস টেক্কা দিয়েছে। এই বাস থেকে জ্বালানি-জাত দূষণ যে ছড়াবেনা তা বলাই বাহুল্য। ফলে বাতাসে মিশবে না কার্বন কণা। এই বাসের স্বাচ্ছ্বন্দ্যও অনেক বেশি।