নকল সোনার মোহর বিক্রির প্রতারণাচক্রের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে প্রাণ গেল ২ জনের। ঘটনার পর পুলিশ গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় তৃণমূল সমর্থকরা। এর পর প্রচুর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকার হাতিয়া গ্রামে। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নকল সোনার মোহর বিক্রির প্রতারণাচক্র চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এই কারবারে যুক্তরা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না পুলিশ। এলাকায় কয়েকটি সতর্কতামূলক ব্যানার পোস্টার সাঁটিয়েই দায় সেরেছে তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নকল সোনার মোহরের কারবারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে হাতিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের ২টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাঁধে। এই বিবাদের জেরে গত ৬ মাস ধরে ঘরছাড়া ছিলে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্য। শুক্রবার রাতে তারা গ্রামে ফেরার চেষ্টা করলে তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ মইনুদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। সারা রাত ধরে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ে গ্রামে। সকালে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে লাভপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গ্রামবাসীরা তাদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এর পর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামে সবাই তৃণমূল সমর্থক। তৃণমূলের ২টি গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওখানে নকল মোহরের কারবার হয় পুলিশ কি জানে না? সারা দেশের লোক এদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে সর্বশান্ত হয়েছে। তবু পুলিশ এই চক্রের মাথাদের ধরে না। কারণ এই কারবারের বখরাও ৭৫/২৫ ফরমুলায় কালীঘাটে আসে।’