'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক দলের আতুরঘর করা হচ্ছে। ক্লাস হচ্ছে না, পরীক্ষা ঠিকসময়ে হচ্ছে না, রেজাল্টও ঠিক সময়ে বের হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে যেখানে তাদের কাস্টমারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।' বুধবার এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছে, কিছু ছাত্রছাত্রী পয়সার অভাবে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য অভিভাবকরা প্রাণপাত করেছেন আর পড়ুয়ারা আস্থা হারাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর। এদিকে সম্প্রতি বিশ্বভারতীতে অর্থনীতি বিভাগের দুই পড়ুয়া সোমনাথ সাউ ও ফাল্গুনি পান ও হিন্দুস্তানি ক্লাসিকাল সংগীত বিভাগের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকে তিনবছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা তৈরি করে স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তিনজনকে ব্যবহার করা হয়েছিল। যার ফলে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে ভুগতে হয়েছে।’ এদিকে পরবর্তী সময় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি লাগাতার আন্দোলন চলে। উপাচার্যও কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন। তার জল আদালত পর্যন্তও গড়ায়।আদালতের নির্দেশ, ‘কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন ব্য়াপারে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার বহিরাগত ও রাজনৈতিক দলগুলির নেই।’ গত সপ্তাহে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘কোনও আদর্শকে মানার আগে ছাত্রছাত্রীদের একটা স্তর পর্যন্ত শিক্ষিত হওয়া দরকার। তাদের ম্যাচিওর হওয়াও দরকার।’